কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ কালিগঞ্জের পল্লীতে কীটনাশক পয়োগ করে লক্ষধিক টাকার সবজি চারা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজার হতে খানপুর রাস্তা সংলগ্ন আব্দুল মজিদ এর কাঠ মিলের উত্তর পাশে গ্রীন বাংলা এগ্রিকালচার নামে একটি সবজি চারা নার্সারিতে দূর্বৃত্তরা কীটনাশক প্রয়োগ করে লক্ষধিক টাকার সবজি চারা নষ্ট করে দিয়েছে। নার্সারি মালিক সঞ্জয় কুমার দৃষ্টিপাত কে জানান সে নওয়াবেকী ছোট কুপুট গ্রামের সুনীল কুমার মন্ডলের ছেলে, গত আড়াই মাস আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সুবোল ঘোষের কাছ থেকে সাত কাঠা জমি পাঁচ বছরের জন্য ৩৫ হাজার টাকা চুক্তিতে নার্সারি করার জন্য হারি নিয়ে সেখানে বাড়ি তেরি করে তার মা-বাবা সহ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে এবং একই জমিতে পলি হাউস তৈরি করে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মত চারা তৈরির জন্য বীজ বপন করেন। চারাগুলো বিক্রি করার উপযুক্ত হচ্ছে এবং অল্প কিছু চারা বিক্রি করেছেন এর মধ্যে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে গত রবিবার দিবাগত রাতে ঘেরা দেয়া নেট গুলো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সবজি চারায় ঘাষ মারা কীটনাশক ছিটিয়ে দেয়।
প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও আমি পলি হাউজের কাজ সেরে খাওয়া-দাওয়া করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি সকালে উঠে পলি হাউস এর বাহিরে কাজ করছি সেই সময় জমির মালিক সুবল ঘোষ পাশের খেতে কাজ করছিলেন সে নেট কাটা দেখতে পেয়ে আমাকে ডাকলে দেখতে পাই যে দুই পাশের নেট কাটা এবং চারাগুলো ঝলসানো মত অবস্থা সহ চারা থেকে পোড়া গন্ধ বাহির হচ্ছে। কিছুক্ষন পর চারা গুলো আস্তে আস্তে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে আমি চারা গুলো বাঁচানোর জন্য পানি ছিটিয়ে দিলেও মারা যাচ্ছে। কারো প্রতি কোন অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে সে জানায় আমার কোন শত্রু নেই কারো সাথে কোন সমস্যা নেই যে যেখান থেকে চারা নিতে আসে আমি তাদেরকে চারা দেই এবং ভাল বীজ থেকে ভালো চারা দেয়ার লক্ষ্যে আমি পলি হাউস করেছি এজন্য আমার কারো সাথে কোন সমস্যা থাকার কথা নয় তবুও হয়তো আমার এই পলি হাউস এর সুনাম নষ্ট ও ক্ষতি করার জন্যই কে বা কাহারা রাতের আধারে এই কাজটি করে আমার প্রায় ১ লক্ষধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া তারা যদি আমার ক্ষতিপুরন হিসাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাহলে আমি আবার মাথা উচো করে দাড়াতে পারবো। এছাড়া দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।