আব্দুল মাজিদ কৃষ্ণনগর থেকেঃ চলতি আমন মৌসুমীমে বেশ কিছুদিন কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অস্থির হয়ে পড়েছিল কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষকেরা। পরিশেষে বৃষ্টির দেখা পেল আমান চাষিরা। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কৃষকেরাও পুনরায় চাষাবাদ এর কাজে নিয়োজিত হয়েছেন। অত্র এলাকা মৎস্য চাষের উপর অধিকাংশ জমি থাকার পরেও মৎস্য ঘেরে ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকেরা আমন ধানের উপর নির্ভরশীল। নির্ধারিত সময় যদি আমন ধান লাগানো যায় তবে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন করা যায় বলে কৃষকেরা মনে করেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বীজ তলার সবুজ চারা লালচে হয়ে যাচ্ছিল কৃষকেরা প্রহার গুনছিল কখন বৃষ্টি দেখা পাব। হঠাৎ গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা খুবই আনন্দিত। ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি জমেছে এবং ঐ পানিতে কৃষকেরা জমি চাষ করে চারা রোপন করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। বর্তমান সময়ে ইট ভাটা চালু না থাকায অত্র এলাকায় ফসলি জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপন করার জন্য কৃষি শ্রমিক ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষ মজুরি দিনে ৬০০ মহিলা মজুরি ৪০০ টাকা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের নুর ইসলাম শেখের পুত্র আবুল হোসেন দৃষ্টিপাত প্রতিনিধি কে জানান আমি সাত বিঘা জমি ফসল লাগানোর জন্য ১২ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে হারি নিয়ে ছিলাম। সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় খুব কষ্ট করে বীজ তলায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি উঠাইয়া বীজ বপন করেছি কিন্তু দীর্ঘদিন খরা থাকার কারণে চারাগুলো লালচে আকার ধারণ করতে ছিল। হঠাৎ বৃষ্টি হওযায় আমার বীজ তলার চারা গুলো যেন নতুন যৌবন ফিরে পেয়েছে। ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আহম্মদ জানান অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকেরা তাদের জমি চাষ করতে খুবই বিরক্ত হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি পাত হওয়ায় ধান রোপনের গতি বেড়ে গেছে। আশা করছি সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষকেরা তাদের জমিতে ধান রোপন করতে সক্ষম হবে। এবার এত হাজার এত হেক্টর জমিতে আমন্ ধান লাগানো হবে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে কৃষকেরা কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।