কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরে শত্রুতা মূলক ভাবে মৌমাছির আবাস স্থল নামক বাড়িটির মৌমাছির চাকগুলো বিষ প্রয়োগ করে বিনষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মৌমাছির চাকগুলো হারিয়ে বাড়ির মালিক এখন পাগল প্রায়। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজারে মৃত আলহাজ্ব আবু দাউদ আলী তরফদারের পুত্র আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের বাড়িতে। জানা যায় সুন্দরবনের মৌমাছিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়ে ছে বাড়িটি। বিগত ১০ বছর ধরে আট মাসই চাক বেঁধে বাড়ি টিতে থাকে মৌমাছিগুলো। বাড়ি টির সামনের অংশে ৪টি চাকে বসবাস করে কয়েক লক্ষ মৌমাছি। মৌমাছির গুনগুন আওয়াজে মুখরিত থাকে সব সময়। বাজারের ভিতরে বাড়িটি হওয়ায় বাজার করতে আসা লোকজন প্রায়ই দেখতে আসে মৌমাছির চাকগুলো। কেউবা মনে করে আসে চাক গুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য। পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে যেন মৌমাছিগুলো। এই ভালোবাসা বন্ধন গড়ে উঠেছে ১০ বছর আগে। বাড়িটি এখন মৌমাছির বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এলাকায়। এর মধ্যে দুর্বৃত্তরা গত ১৫ মে বুধবার দিনগত রাতের কোন এক সময় বিষ প্রয়োগ করে মৌমাছির চাকগুলো নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঝুলন্ত অবস্থায় আছে শুধু চাক মৌমাছিগুলো পড়ে আছে মাটিতে। এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গেছে কৃষ্ণনগর বাজারে আসা হাজার হাজার লোকেরা। বাড়ির মালিক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম দৃষ্টিপাত কে জানান, গত ১০ বছর আগে হঠাৎ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কয়েক টি মৌমাছির চাক এসে হাজির হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে চলে আসে। দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট বাড়ির বেলকনি, দেওয়াল সহ বিভিন্ন স্থানে চাক তৈরী করে। প্রতি বছরই এই মৌমাছির দলের আগমনের সংখ্যা বাড়াতে থাকে। গত বছরও মৌমাছির চাকগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল এ বছরও রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে চাক গুলো নষ্ট করে দিয়েছে। এই মৌমাছির চাকগুলো আমি মনে করি আমার পরিবারের অংশ তারা। মৌমাছির চাকগুলো হারিয়ে আমি যেন পাগল হয়ে গেছি। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করিতেছি দুর্বৃত্তদের খুঁজি আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য।