কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে লোহার ফ্রেম যুক্ত টিনসেড সহ যায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কালিগঞ্জ থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দখল বন্দ হলেও লোহার ফ্রেমযুক্ত টিনশেডটির হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত্র ১ টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারের চাউল বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী শাজাহান কবির শানু জানান ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিনের লোকজনের পাহারায় রাত্র ১টার দিকে বাজারে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক, চাউলের এবং মাংসের বাজারের টিনশেড ভেংগে দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সিমেন্ট বালু রড নিয়ে কাজ করছিল বিষয়টি দেখে আমি স্থানীয় বেশ কয়েক জনকে ফোন সহ ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ কে অবহিত করি পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে কাজ বন্দ করার নির্দেশ সহ ব্যবহারিত নির্মাণ সামগ্রি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের জিম্মায় রেখে যায়। সরজমিনে রওশান কাগুচী আসফারুক মাংস বিক্রিতা আবু ইসা সহ একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ৪০ বছর এর অধিক সময় যায়গাটি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছে যায়গাটিতে ব্যবসায়ীদের জন্য লোহার ফ্রেমের টিনশেড নির্মিত ছিল, পূর্বে স্থানটি মাছ ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করত বর্তমানে মাংস ও চাউলের খুচরা ব্যবসায়ীরা জায়গাটিতে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। তবে যায়গাটি সবার কাছে চাউল বাজার নামেই পরিচিত এবং এটি পেরিফেরির আওতাভুক্ত স্থান। হটাৎ শুক্রবার রাত্রের অন্ধকারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত নূর ইসলাম খোকা,নূরুল ইসলাম গাজী, শাহিন ওরফে লাড্ডু শাহিন, সিরাজুল ইসলাম সহ প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল টিনশেড ভেংগে দিয়ে সেখানে ভবন নির্মানের জন্য লোহার রড, ইট, খোয়া, সিমেন্ট নিয়ে আসে তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্দ হয়ে যায়। এ বিষয়ে শাহিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি সহ নুর ইসলাম খোকা,নুরুল ইসলাম গাজীর নামে যায়গাটি এক মাস পূর্বে ৯৯ বছরের বন্দবস্ত নিয়ে ছিলাম। দিনের বেলায় বাজারে লোকজনের ভিড় থাকায় রাত্রে কাজ করছিলাম আগামীতে আমরা দিনের আলোতেই কাজ করব । বন্দবস্তের বিষয়ে জয়পত্রকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যারা দখল করতে ছিল তারা ডিসি অফিস থেকে বন্দবস্ত নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি বাহিরে আছি এ বিযয়ে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বাজার কমিটির সহ-সভাপতি পল্লী চিকিৎসক মাওঃ আইয়ুব হাসান জানান জায়গা টি সরকারি সম্পত্তি ইহা দীর্ঘদিন ধরে খুচরা চাউল বিক্রিতা ও মাংস বিক্রিতারা ব্যবহার করে আসছে। আমি বর্তমান এবং পূর্বের নায়েবের কাছে ফোন দিয়ে জানতে পেরেছি এই জায়গা কোন বন্দবস্ত দেওয়া হয় নাই। কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহিন দখলের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রাতের আঁধারে সরকারি সম্পত্তি দখলের বিষয়টি নিয়ে চাউল এবং মাংস ব্যবসায়ী সহ বাজার দোকানদার ও সচেতন মহলের মধ্য চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকারী সম্পদ ও সম্পত্তি উদ্বার সহ চাউল ও মাংসের হাট হিসেবে জন সাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন।