কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের প্রধান সড়কের ৩৫০০ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে সরজমিনে দেখা যায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাজারের দুই ধারে ৩ ফুট প্রসস্থ করে খুড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে প্রথমে বালু এবং তারপর খোয়া দেওয়া হচ্ছে তা অতান্ত নিন্মমানের এবং মাটিযুক্ত। স্থানীয় চা দোকানী জালাল সহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কাথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি সাধারণ জনগনের দৃষ্টিতে আসলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে নিন্মমানের মাটিযুক্ত আধাপোড়া ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি অবহিত করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা ঘটনা স্থলে আসেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, রাস্তাটি নির্মানে সালভেজড উপকরণ ব্যবহার করা যাবে কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফ জানিয়ে দেয় বাজারের রাস্তায় কোন প্রকার নিন্ম মানের খোয়া ব্যবহার এমনকি কোন অনিয়ম করা যাবে না। তিনি তখনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে নিম্ন মানের খোয়া দ্রুত অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেন। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহেদ ইন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সোহাগ হোসেন খোয়াকে রাস্তার সালভেজড ম্যাটেরিয়াল/ উদ্ধার উপকরণ বলে দাবী করলেও তা অন্য কোন স্থানের খোয়া/রাবিশ বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। এদিকে উক্ত কাজের সিডিউল অনুযায়ী সালভেজড উপকরণ প্রযোজ্য নয় বলে উলেখ থাকলেও উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন সালভেজড উপকরণ ব্যবহার করা যাবে কিন্তু সালভেজড উপকরণের নিলাম হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাতক্ষীরাতে আছেন জানিয়ে বিষয়টি তার অফিস থেকে জেনে নেওয়ার কথা বলেন। সচেতন মহল সহ স্থানীয়দের দাবী বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়া সিডিউল অনুযায়ী রাস্তাটি নির্মানের।