আব্দুল মাজিদ কৃষ্ণনগর থেকে \ কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সবচেয়ে যান এবং মানুষ চলাচলের দিক থেকে ব্যস্ততম রাস্তা নামে খ্যাত বালিয়াডাঙ্গা হতে কালিকাপুর তাল তলার হাট রাস্তা। অথচ এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কালিকাপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন মাত্র ১০০ ফুট রাস্তায় কার্পেটিং উঠে গেছে এবং রাস্তার দুই ধারে পুকুর থাকায় রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরের সাথে এক অংশ বিলীন হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল সহ মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভরে গেছে রাস্তার দুই ধারে খানা খন্দকে। রাস্তা দিয়ে চলা চলের সময় সবাই আতঙ্ক গ্রস্ত অবস্থায় থাকে কখন পুকুরে পড়তে হয়। অথচ এই রাস্তাটি অত্যন্ত জনবহুল ব্যস্ততম রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে অনেক কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীরা কালিকাপুর সিদদীকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মানপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, বালিয়াডাঙ্গা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নবযুগ শিক্ষা সোপান, কৃষাণ মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী, ৬৫ নম্বর উত্তর রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহমুদিয়া কিন্ডার গার্ডেন সহ গোবিন্দ পুর আবু হানিফ কলেজিয়েট স্কুলে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী বালিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল ক্রয় করে এ পথ দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আশাশুনি, শ্যামনগরের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক শত সাইকেল, ভ্যান, মোটর সাইকেল, ইজি বাইক, পিকআপ, টলিসহ পায়ে হেঁটে মানুষেরা যাতায়াত করে থাকে। অথচ সামান্য জায়গা খারাপ থাকার কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সাবেক শিক্ষক, দক্ষিণ কালিকাপুর মসজিদের সভাপতি, মৌলভী আব্দুর রউফ দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন, এই রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়াবহ, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে শুধু যান বাহন নয়, মানুষের শরীর ও বিগড়ে যাচ্ছে। মসজিদে আমার দায়িত্ব থাকার কারণে প্রায়ই সময় মসজিদের আশ পাশে অবস্থান করতে হয়। দেখা যায়, প্রায় সময় দুর্ঘটনার চিত্র। কিছুদিন আগে ইট বহন কারী টলি ইট নিয়ে যাওয়ার সময় সিটকে পড়েছিল রাস্তার ধারের পুকুরে। অনেক কষ্টের পর লোক জন সংগ্রহ করে পুকুর থেকে উঠানো হয় টলি। ব্যস্ততম রাস্তাটি মাত্র ১০০ ফুট জায়গা দ্রুত সংস্কার না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ মাস্টার নূর মোহাম্মদ, আলহাজ্ব মাওলানা আইয়ুব হোসেন আনসারী, দক্ষিণ কালিকাপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আমিনুর রহমান, মোয়াজ্জেন মোঃ নাসের আলী সরদার, মসজিদের মুসলী মিজানুর রহমান মোঃ রুহুল আমিন মোড়ল প্রমুখ ব্যক্তি বর্গ বলেন দ্রুত ভিত্তিতে রাস্তার দুই ধারে পাইলিং দিয়ে রাস্তা যদি সংস্কার না করা হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমীর ভিতরেই রাস্তাটি দুই ধারের পুকুরের সাথে একাকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জনবহুল ব্যস্ততম রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।