রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

কেশবপুরে অবাদে বিক্রি হচ্ছে কৃত্তিম উপায়ে তৈরি বিষাক্ত ড্রাগন ফল

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের কেশবপুরে অবাদে বিক্রি হচ্ছে কৃত্তিম উপায়ে তৈরি করা বিষাক্ত ড্রাগন ফল। ফল বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। কেশবপুর শহরসহ উপজেলা বিভিন্ন হাটেবাজারে অবাদে বিক্রি করা হচ্ছে ক্ষতিকারক হরমোনযুক্ত ড্রাগন ফল।যে ফল খেয়ে সাধারন মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। বৃহস্পতিবার কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন ফলভান্ডার ঘুরে দেখা গেছে, যে সকল ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে তা সাভাবিকের চেয়ে আকারে অনেক বড়। এগুলো গাছে থাকা অবস্থায় ড্রাগনের পিছনের অংশের ফুল তুলে আকারে অনেক বড় করে তৈরি করার জন্য ৩ দফা বিষক্রিয়া হরমোন স্প্রে করে থাকে অসাধু এসব চাষীরা। শহরের এএসএইচকে সাদেক সড়কের ফল বিক্রেতা অসিত কুমার এই প্রতিনিধিকে বলেন, আগে প্রকৃত ড্রাগনফল পাওয়া যেত এখন সে গুলো আর পাওয়া যায় না। এখন যা বিক্রি করা হচ্ছে এগুলো গাছে থাকা অবস্থায় এক ধরনের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করে আকারে অনেক বড় তৈরী করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। বিষ মুক্ত একটি ড্রাগনের ওজন হয়ে থাকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। আর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির বেশি হয়ে থাকে । আগে একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর এখন ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।অসাধু ড্রাগন চাষি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করে আকারে অনেক বড় করে তা বিক্রি করছে। অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ীরা বলেন তারা জানেনা ড্রাগন ফল আগের চেয়ে আকারে এত বড় করা হয়েছে কি ভাবে আর এর কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে। কেশবপুর শহরের রায় জুয়েলার্সের মালিক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন ক্ষতিকর বিষযুক্ত হরমোন স্প্রে করে তৈরী করা বড় আকারে ড্রাগন ফল খাইলে মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। শহরের এএসএইচকে সাদেক সড়কের অসাধু ফল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, ফল বিক্রেতা ফারুক হোসেন, ত্রিমোহীনি মোড়ের নিরজ্ঞন কুমার দাসসহ অনেকেই জেনে বুঝে অধিক লাভের আশায় এই ক্ষতিকর ড্রাগন ফল বিক্রি করে চলেছে। এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানভির হোসেন বলেন, কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা ড্রাগন ফল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে শুনেছি। ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com