কেশবপুর ব্যুরো ॥ উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করেছে মৃত মহাতাপ গং, এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসময় কেশবপুর উপজেলার ভেরচী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপরিদর্শক এসআই শামিম হোসেন ও তার ফোস নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়,উপস্থিত হলে জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা কারিরা স্থান ত্যাগ করে। মৃত মহাতাপ গং এর নাতি ছেলে আবুল কালাম সরদারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন টি রিসিভ করেন,আবুল কালামের চাচা আলমগীর হোসেন,বলে জমিতে গিয়েছিলাম, তাই কী হয়েছে,আমি এখন গাড়ি চালাচ্ছি পরে কথা হবে। উল্লেখ, দলিল মতে উপজেলার ভেরচী গ্রামের এস.এম.হাবিবুর রহমান হাবিবের স্ত্রী শিরিনা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সন্ন্যাসগাছা ১৪০ নং মৌজার আর এস ১৬৩৮ খতিয়ানের ২৩৮০, ২৩৭৯, ৪৩৭৮ দাগের ১ একর ৪৭ জমি ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছে, তিনি এই জমি সন্ন্যাসগাছা গ্রামের মৃত মোবারক ফকিরের ছেলে আব্দুল করিম ফকির, আব্দুল কাদের ফকির আনছার আলী ফকির আব্দুর রহিম ফকির, মেয়ে মোমেনা খাতুন সহ,তাদের ওয়ারিশ গণ, রাজ্জাক ফকির,মোতালেব ফকির,মোর্ত্যজা ফকির, জাহানারা বেগম,রুপনাহার বেগম,বিলকিচ বেগম,রহিমা বেগম,নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ২০-০৪-২২ তারিখে এই জমি ক্রয় করেন,জানা,যায়,মৃত মোবারক ফকিরের শ্বশুর বাড়ি একই গ্রামে থাকাই শ্যালক মৃত মহাতাপ সরদার গং উক্ত জমি বর্গা হিসাবে চাষাবাদ করতো।মোবারক ফকিরের অজান্তে শ্যালক মৃত মোহাতাপ সরদার গং মাট জরিপের সময় জমি দখল হিসাবে নিজেদের নামে রের্কড করে নেয়,মোবারক ফকির বিষয়টি বুঝতে পেরে এলএসটি তে নামপত্তন করার জন্য মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৫৫৯/১৬ এবং মৃত মোবারক ফকিরের পক্ষে আদালত রায় দেন।উক্ত রায় স্থাগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন,মৃত মোহাতাপ সরদার গং, তার পরিপেক্ষিতে, ২৭ জুন ২০২২ তারিখে উচ্চ আদালতের বিচারক জাফর আহমেদ এবং কাজী জিনাত হক সম্নয় গঠিত বেঞ উক্ত রায় স্থগিত না করে, নিন্ম আদালতে মামলা নিস্পতী না হওয়া পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বর্তমানে দখলে যিনি আছেন তিনি থাকবেন, (গবধহযিরষব,ঃযব ঢ়ধৎঃরবং ধৎব ফরৎবপঃবফ ঃড় সধরহঃধরহ ংঃধঃঁং-য়ঁড় রহ ৎবংঢ়বপঃ ড়ভ ঢ়ড়ংংবংংরড়হ ধহফ ঢ়ড়ংরঃরড়হ ড়ভ ঃযব ংঁরঃ ষধহফ) এই আদেশ দেন। ১২ই জানুয়ারি২০২৪ মৃত মোহাতাব গং আলমগীর হোসেন সরদার বাদী হয়ে, বর্তমান ক্রয় সুত্রে জমি মালিক,শিরিনা আক্তারের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন,অভিযোগের ভিত্তিতে কেশবপুর থানা বিষয়টি ভেরচী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর দায়িত্ব থাকা এসআই শামীম হোসেনের উপর দায়িত্ব দেন,শামীম হোসেন উভয় পক্ষকে ডেকে এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেন, এবিষয়ে এসআই শামীম হোসের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলন, আমি উভয় পক্ষকে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং আদালতে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছি। এবিষয়ে ক্রয় সুত্রে জমির মালিক শিরিনা আক্তার বলেন, আমি স্বামী এস.এম.হাবিবুর রহমান গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের ২বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আমার স্বামী মান ক্ষুণ করতে তারা এসব করছে,আমি যাতে ক্রয় কৃত জমি ও আমার স্বামীর মান বজায় থাকে, সে জন্য উদ্বর্তন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।