একে সোহাগ কেশবপুর যশোর থেকে ॥ কেশবপুরে নতুন বছর বই উৎসবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও ইবতেদায়ী দাখিলের এবং ১২ টি কল্ডার্স গার্ডেন সহ ২৮৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ লাখ ১৭ হাজার ১২৫ টি বই বিতরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১ লা জানুয়ারি-২০২৪ সোমবার বই উৎসবের দিন এই নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কেশবপুর উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে উপজেলায় কিল্ডার্স গার্ডেন, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হলো ২৮৮ টি। এর মধ্যে কিল্ডার্স গার্ডেন ১২ টি ,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৮ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৭ টি ও ইবতেদায়ীসহ দাখিল মাদ্রাসা হলো ৫১ টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট বইয়ের চাহিদা ৮৮ হাজার ৫৯০। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে বইয়ের চাহিদা হলো ১৫০৯০, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫১৬০, তৃতীয় শ্রেণীতে ২৮৮৯০, চতুর্থ শ্রেণীতে ৪২৬৬০, পঞ্চম শ্রেণীতে ২৬৮৮০ ও প্রাক প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা হলো ৪৮৩৫ টি। কেশবপুরে ৭ টি জুনিয়র সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলো ৬৭ টি এবং মোট বইয়ের চাহিদা হলো ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৮৫। এরমধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৪৬ হাজার ২০০ , ৭ম শ্রেণিতে ৪২ হাজার ৯০০, ৮ম শ্রেণীতে ৫১ হাজার ৮২৫ ও ৯ম শ্রেণীতে ৫১ হাজার ৯১০। কেশবপুরে ইবতেদায়ী দাখিল মাদ্রাসায় মোট বইয়ের চাহিদা হলো ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫০। এরমধ্যে ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণী ১২ হাজার ৬০০, ইবতেদায়ী দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১১ হাজার ১০০, ইবতেদায়ী তৃতীয় শ্রেণীতে ১৪ হাজার ৪০০, ইবতেদায়ী চতুর্থ শ্রেণীতে ১২ হাজার ৮০০, ইবতেদায়ী পজ্ঞম শ্রেনীতে ১৩ হাজার ৬০০, দাখিল ৬ষ্ট শ্রেণীতে ২৮ হাজার, দাখিল ৭ম শ্রেণীতে ২৫ হাজার ২০০, দাখিল ৮ম শ্রেণীতে ২৫ হাজার ৫০০ ও দাখিল ৯ম শ্রেণীতে বইয়ের চাহিদা হলো ২৪ হাজার ৬৫০। ইতিমধ্যে কেশবপুরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বছরে বই উৎসবের দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আব্দুর রব দৈনিক স্পন্দনকে বলেন ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি বই উৎসবের জন্য উপজেলার ১৫৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত বই ইতোমধ্যে পৌঁছিয়ে গেছে এবং যথাসময়ে তা বিতরণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খাঁন দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর সমস্ত বই ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর বই এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আশা করা যায় যথা সময়ে বাকী সব বই পাওয়া যাবে এবং নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।