কেশবপুর ব্যুরো ॥ কেশবপুরের সর্বসাধারণকে সাথে নিয়ে আগামীতে আমার সাংসদীয় এলাকাকে নতুন করে আধুনিক উপজেলা হিসাবে গড় তুলতে চাই। সকল প্রকার হিংসা বিদ্বেষের উর্দ্ধে সকলের কাছে আপন ভাই হয়ে বেঁচে থাকে চাই। তার জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া পেতে চাই। আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগিতা নিয়ে আধুনিক কেশবপুর উপজেলা হিসাবে গড়তে চাই। আর আমার উপরে অর্পিত সকল দায়িত্ব সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভাবে পালন করতে সকলের নিকট দোয়া চাই। এই মন্তব্য করেছেন যশোর-৬ কেশবপুর আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে তাঁর সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত সংসদ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার আজিজুল ইসলাম। কেশবপুর পৌরসভার ৮ নং ব্রক্ষ্মকাটী ওয়াডের বাসিন্দা মধ্যবিত ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। ছাত্র জীবনে তিনি উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি নিজেই অত্যাচার জুলুমের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন উপজেলা থেকে নির্বাসীত ছিলেন। এরপর জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে প্রথমে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ফর্ম সংগ্রহ করে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যার্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল পাখি প্রতিকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের পরের দিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জেয়ারত করেছেন। বর্তমানে দেশনেত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ মাসের মধ্যভাগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শপাত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরে কেশবপুরে তার প্রতিক ঈগল পাখি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেনের কাঁচি প্রতিকের কর্মী সমার্থকর আনন্দ উল্লাস দেখা দিয়েছে।