কেশবপুর ব্যুরো ॥ যশোরের কেশবপুরে শফিকুল সরদার (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে। সে ওই গ্রামের মৃত ফয়েজউদ্দিন সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে শফিকুল সরদার কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে সাংসারিক জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে মঙ্গলকোট বাজারে যায়। বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করে দিয়ে সন্ধ্যার পর মেয়ে সুমাইয়াকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং শফিকুল সরদার বাজারে থেকে যায়। পরবর্তীতে রাতে বাউশালা গ্রামের ভ্যানচালক ইউনুস সরদার (৩৫) ভ্যান নিয়ে হিজলডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার প্রতিমধ্যে বাউশলা গ্রামে হাজির বিলে মহসিনের মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে শফিকুল সরদারের গলায় মাফলার পেঁচানো ও গায়ে চাদর জড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। ওইসময় ভ্যানচালকের সাথে থাকা রেজাউল গাজী পড়ে থাকা শফিকুল সরদারকে উদ্ধার করে হিজলডাঙ্গা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আজিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। গ্রাম্য চিকিৎসক শরিফুলকে প্রাথমিকভাবে দেখেশুনে ভ্যানচালকের এর মাধ্যমে বাড়িতে সংবাদ পাঠান এবং সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। খবর পেয়ে ছেলে-মেয়ে পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে ধরাধরি করে উঠানোর চেষ্টাকালে সে মারা যায়। এলাকাবাসী মৃত্যুর বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। লাশ উদ্ধারের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, লাশের শরীরের গলায় দাগ ও থুতনির নিচে কাটা দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য নিহতের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।