সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

কেশবপুর থানা প্রাঙ্গণ যেন বক পানকৌড়ি পাখির মেলা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ কেশবপুর থানা প্রাঙ্গণের মেহগনি ও নারকেলগাছে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে কয়েক ঝাঁক বক ও বিরল প্রকৃতির পানকৌড়ি। থানা প্রাঙ্গণের পাশে মধু সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী মানুষেরাসহ থানার স্টাফরাও এগুলো দেখে অভ্যস্ত। কালের বিবর্তনে প্রকৃতির নিষ্ঠুর ও বিরূপআচার-আচরণে, মানুষের অত্যাচার-অনাচারে হারিয়ে যেতে বসা বক ও পানকৌড়ি পাখিদের কিছুই বলেনা তারা। তাইতো থানা প্রাঙ্গণের ওই সকল গাছগুলো পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশবপুর থানা প্রাঙ্গণের মধ্যে বড় আকৃতির ৮/১০টি মেহগনি গাছের মগডালে ও নারকেল গাছে বাসা বেঁধে অবস্থান করছে পানকৌড়ি এবং বক। এখানে বাসা বেঁধেডিম পেড়ে বাচ্চা ও ফুটাচ্ছে এসব পাখিরা। থানা প্রাঙ্গণের পুকুর, একটু অদূরে বয়েচলা হরিহর নদ ও জলাশয় থাকায় সেখান কার মাছ খেয়েই ফিরে আসে নীড়ে। থানার পাশের বাসা এক মহিলা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বক ও পানকৌড়িপাখি দেখেছি। প্রতিদিন সকালে তারা চলে যায় ঝাঁক ধরে খাদ্যের সন্ধানে আর ফিরে আসে সন্ধ্যায়। এসকল দৃশ্য ছাদে বসে উপভোগ করি। রাস্তা দিয়ে চলাচল স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, পাখির কোলাহল না শুনলে তাদের ভালোলাগে না। বিশেষ করে যাতায়াতের সময় নানা ধরনের পাখি দেখে শিক্ষার্থীরাও মুগ্ধ হয়ে ওঠে। এ সব পাখির কিচিরমিচির ডাক শহরে আসা ব্যক্তিদের মুগ্ধ করে তোলে। মধু সড়কে সোমবার সন্ধ্যায় শীতের পোশাক কিনতে আসা ফাহিম (৫) বলেন, অনেক পাখি এক সাথে কিচিরমিচির করে ডাকছে, এটা দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছি। মোবাইলে ছবি তুলে নিতেছি বাসায় আম্মু কে দেখাবো। এ দিকে ফাহিমের বাবা তার সন্তান কে আনন্দ উপভোগ করতে দেখে তিনি অনেক খুশি হন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা হলেই পাখিদের কিচিরমিচিরে থানা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। তাইতো সন্তান কে এমন দৃশ্য দেখানোর জন্য থানা প্রাঙ্গণে দাড়িয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com