ইট ও বালু ফেলে জনগণকে সান্ত্বনা দেওয়ার প্রচেষ্টা
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি \ কৈখালী ইউনিয়নে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনসাধারণকে সারা বছর। তারপরে চলছে বর্ষা মৌসুম খানা খন্দকে ভরপুর এসব রাস্তা দিয়ে চলতে বর্ণনাতীত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পথযাত্রীদের। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনায় হাত পা ভাঙছে এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমনও তথ্য আছে এ প্রতিনিধির কাছে। তবুও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের চরম উদাসীনতা কমেনি। পরানপুর ব্রিজ থেকে ষষ্ঠীর মোড় হয়ে পরানপুর বিজিবি সড়ক পর্যন্ত দেখলে বোঝা যায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাটকীয় প্রহসনের দৃশ্য। কোথাও বালু ফেলে রেখেছেন, আবার কোথাও ইট ফেলে রেখেছেন। এ নাটকীয় প্রহসনের দৃশ্যের শেষ কোথায়? বর্ষা মৌসুম শেষ হলে কি করবেন রাস্তার সংস্কার?স্কুল শিক্ষার্থীদের কোচিং ও স্কুলে যাওয়া আসা প্রতিদিন, মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাজের সন্ধানে এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতেই হয়। সাধারণ পদযাত্রী তো আছেই। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কারের ধীরগতির কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ জনগণ। জীবনের অপর নাম যুদ্ধ। কিন্তু যদি শিক্ষা, যোগাযোগ, আয়ের উৎস সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাত গুলো যদি সংকট পূর্ণ হয় মানব জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। এ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এ ধরনের প্রত্যেকটি খাতে তাদের চাওয়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত। সুবিধা বঞ্চিতই এ অঞ্চলের মানুষগুলো জীবন জীবিকার জন্য প্রতিনিয়তই যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দিন শেষে পরাজিত সৈনিকের খাতায় যেন তাদের নাম থেকে যায়। স্মৃতির অতল গহবরে পড়ে যায় তাদের সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস। এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট গুলো যদি সংস্কার মাধ্যমে একটু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হতো তাহলে মানুষের জীবন জীবিকার মান কিছুটা হলেও উন্নত হতো। এ বিষয়ে জানার জন্য কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাস্তায় ইট ও বালু ফেলে রাস্তা সংস্কারের নামে চলছে প্রহসন। এ প্রহসন বন্ধ করে এলাকার জনগণ চায় দ্রুত রাস্তা সংস্কার তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।