দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানীর মাধ্যমে মুসলমানরা ঈদুল আযহা উদযাপন করে থাকে। কোরবানীর পশু গরু ও ছাগলের মাংস রান্নার উৎসব চলবে ঘরে ঘরে। মাংস রান্না করতে চাই হরেক ধরনের মসলা। ইতিমধ্যে ক্রেতা তথা ভোক্তা সাধারনের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মসলার ব্যাপক উপস্থিতি। চাহিদার তুলনায় যোগান ও পর্যাপ্ত সেই সাথে স্বাভাবিকের অপেক্ষা মসলার মুল্য বৃদ্ধির ঘটনা দৃশ্যমান। এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোন কোন মসলার মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে। বর্তমান সময় ঈদ উপলক্ষে মসলার চাহিদা যেমন বেড়েছে অনুরুপ ভাবে বর্তমান সময় বিভিন্ন ধরনের মসলার ভরা মৌসুম, পনের দিন পূর্বেও পেয়াজের ঝাজ ছিল চোখে পড়ার মত কিন্তু সরকার পেয়াজ আমদানীর ঘোষনা দেওয়ায় পেয়াজ আমদানী করায় পেয়াজের বাজার কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকায় আসে কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে কেজিতে পেয়াজের মুল্য বেড়েছে ৫/৭ টাকা। গত এগার জুন সরকার সোয়াবিন তেলের মূল্য লিটার প্রতি দশ টাকা কমিয়ে একশত উননব্বই টাকা করেছে কিন্তু কোন কোন ব্যবসায়ী তা মানছে না। আদার বাজার উর্ধমুখি আদার মুল্য কেজি প্রতি বরাবরই একশত পঞ্চাশ হতে একশত ষাট টাকার মধ্যে থাকলেও বর্তমান আদা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে দুইশত ষাট বা তারও বেশী। বাজারে চীনা আদার চাহিদা বরাবরই বেশী কিন্তু বাজারে চীনা আদার খুব বেশি নেই। মেয়ানমার ও ভিয়েতনাম হতে আমদানী করা আদা দেখা যাচ্ছে, রসুনের ক্ষেত্রে মুল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। বাজারে চীনা রসুনের মূল্য বেড়েছে। গোশ রান্নায় বরাবরই গৃহিনীদের বিশেষ পছন্দ ও উপযোগী শুকনো ঝাল বাজারে বর্তমান সময়ে শুকনো ঝাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে চারশত বিশ হতে পঞ্চাশ টাকায়। বাজারে দুই ধরনের জিরে পাওয়া যাচ্ছে ইরানী ও ভারতীয়। ইরানী জিরা কেজি প্রতি এক হাজার হতে এগারশত টাকা ও ভারতীয় জিরা সাত শত হতে আটশত পঞ্চাশ টাকা। ভারতীয় রসুনের মূল্য কেজি প্রতি একশত কুড়ি/পচিশ টাকা দেশী রসুন একশত চলিশ ও চীনা রসুন কেজি প্রতি একশত পঞ্চাম টাকা। গোল মরিচ বাজার অন্যত উপকরন বাজারে গেলে মরিচের মূল্য কেজি প্রতি সাতশত টাকার কম বেশী। আমাদের দেশের অতি পরিচিত মসলা গরম মসলা যার উপকরন গুলো এলাচ, ডালচিনি ও লবঙ্গ। বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলাচের উপস্থিতি বিদ্যমান। এলাচ মুলত আমদানী নির্ভর মসলা, কেজি প্রতি এলাচের মূল্য প্রকার ভেদে পনের শত হতে পঁয়ত্রিশ শত টাকা। ডালচিনি কেজি প্রতি তিনশত পঞ্চাশ হতে চারশত টাকা, লবঙ্গ কেজি প্রতি ষোল হতে আঠার শত টাকা, মাংসের স্বাদ আর রসনাতৃপ্তের ক্ষেত্রে জয়ফল ও জয়ন্ত্রীর বিকল্প নেই। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির ও অন্যতম শীর্ষে এই দুই মসলা, জয়ফল কেজি প্রতি আটশত ও জয়ন্ত্রী কেজি প্রতি পঁয়ত্রিশ শত টাকা, বাজারে তারকা মৌরি ও তারা মসলার মূল্যের কারনে অনেক ক্রেতা তা এড়িয়ে চলছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মসলার পাশাপাশি নুডুস, ডিম ও ঘি এর মুল্য ও উর্দ্ধমুখি। সাতক্ষীরার বড় বাজারের পাইকারী মসলা বাজারের এক মূল্য খুচরা বাজারে ভিন্ন মূল্য এ বিষয়ে একাধিক খুচরা মসলা বিক্রেতা জানান যেহেতু পাইকারদের নিকট হতে তারা ক্রয় করেন বিধায় সঙ্গত কারনে পাইকারী বাজার অপেক্ষা খুচরা বিক্রেতারা কিছুটা লাভ করবে আর এ কারনে খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধি, ক্রেতারা মসলা বাজারের উত্তাপের কারনে এলাচ, আদা, গরম মসলা, জিরা, মরিচ, জয়ত্রী, জয়ফল একশত গ্রাম, দুই শত গ্রাম আবার অনেকে পঞ্চাম গ্রাম পরিমানে সংগ্রহ করছে, মসলা বাজারে মুল্য বৃদ্ধির বাইরে এক অশুভ খবর প্রচার হচ্ছে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা এলাচা ও লবঙ্গের ঝাজ গরম পানিতে নিচ্ছে অর্থাৎ গরম পানিতে এলাচ ও লবঙ্গ ডুবিয়ে প্রকৃত গুনাগুন নিয়ে নিচ্ছে, বিশেষ করে সন্দেহের চোখে খোলাবাজারের মসলা, বিষয়টি ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ তদন্ত ও তদারকি করলে সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। যে সকল ব্যবসায়ী মূল্য বৃদ্ধিতে জড়িত তাদের চিহিৃত ও বাজার নিয়ন্ত্রন জরুরী।