এফএনএস স্পোর্টস: সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকা যাওয়ার সহজ উপায় সমুদ্রপথ। বিমানে হলে অ্যান্টিগা ঘুরে যেতে হয়, ফলে অনেক সময় প্রয়োজন। এ ছাড়া যেসব বিমান আছে, সেগুলো খুবই ছোট। টিকিটও দুষ্প্রাপ্য এবং ব্যয়বহুল। এ কারণে স্বাগতিক দল ছাড়াও বাংলাদেশ দল এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা ফেরিতে করেই সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকায় যাত্রা করে। কিন্তু সেই যাত্রা পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন। ক্রিকেটারদের সমুদ্রযাত্রা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কম থাকার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ‘সিদ্ধান্ত’ মেনে নিতে হয়েছিল বিসিবিকে। নিজামউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিষয়টা যেভাবে এসেছে, আসলে ওরকম ছিল না। আমাদের সঙ্গে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড যোগাযোগ করে আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছিলাম। আমাদের দলের এই ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই। এটা আমরা জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড জানায়- বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিমান চলাচল সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে, খুব ছোট ছোট বিমান এখানে যাতায়াত করে।’ এরপরই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড ফেরির বিষয়টি জানায়। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর ভাষায়, ‘একইসঙ্গে আমাদের জানালো তারা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থা করছে, যা ছোট ক্রুজ শিপের মতো। এটা নিয়মিত চলাচল করে এবং বাংলাদেশ দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, আইসিসির অফিসিয়াল, টিভি ক্রু ও ধারাভাষ্যকাররা একইসঙ্গে যাবেন। এই বিষয় নিশ্চিত করার পর আমাদেরও আলোচনা থামিয়ে দিতে হয়। কারণ দুই দল একইসঙ্গে ট্রাভেল করছে। তখন বিষয়টা মেনে নিতে হয়। যখন আমাদের দল কোনও দেশে যাবে, যাবতীয় সব দায়িত্ব ওই বোর্ডেরই। যেমন কোনও বিদেশি দল এলে আমাদের ওপর নির্ভর করতে হয়।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে বলে জানালেন তিনি, ‘ফেরিযাত্রাও আবহাওয়ার অবস্থা দেখে একদিন পিছিয়েছে। এ ধরনের ভ্রমণে কিছু মোশন সিকনেস হয়। এটার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে, কী কী গাইডলাইন মানতে হবে, আগে বলা হয়েছে। এটা যে একদম অস্বাভাবিক কিছু তা কিন্তু না। সমুদ্রে নড়াচড়ার সময় এসব সমস্যা হয়। শুধু বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রাই অসুস্থ হয়েছেন তা না। বাজে আবহাওয়ার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দেরও একইরকম অবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের এই অভিজ্ঞতা নেই, তাই তাদের প্রতিক্রিয়া বেশি ছিল, এটাই স্বাভাবিক।’ আগামী আগস্টে শ্রীলঙ্কাতে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ। তবে শ্রীলঙ্কার আর্থিক মন্দার কারণে টুর্নামেন্টটি যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল। যদিও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ঠিকমতো আয়াজন করায় সেই শঙ্কা কেটে গেছে। নিজামউদ্দিন জানালেন, নির্ধারিত সময়ে শ্রীলঙ্কাতেই হবে এশিয়া কাপ, ‘মূলত এসিসি থেকেই আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া দল শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের হোস্টিংয়ের চ্যালেঞ্জ হয়তো কাটিয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’