দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলি বাহিনী সাথে গোটা গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়ত প্রতিমুহুর্তে প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করছে হামাসযোদ্ধারা। গাজার সর্বত্র ইসরাইলি বাহিনীর ক্ষত যেমন দৃশ্যমান অনুররুপ ভাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসযোদ্ধার দ্বারা হামলার সম্মুখিন হচ্ছে। সপ্তাহব্যাপী রাফার পাশাপাশি দখলদার ইরসাইলি বাহিনী শান্তও নিরিবিল শহর খ্যাত রাম্লাা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে অবর্ননীয় বিমান হামলা পরিচালনা করছে গত পাঁচ মাসের অধিকসময় অতিবাহিত হয়েছে হামাস ইসরাইল যুদ্ধে অর্থাৎ ইসরাইল কর্তৃক গাজায় হামলা, এই পাঁচমাসের অধিক সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অন্তত ত্রিশহাজারের বেশী ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষকে হত্যা করেছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনী ফিলিীস্তনি শিশুদেরকেও নির্বিচারে হত্যা করেছে। হামাসের পক্ষ হতে বারবার অভিযোগ করে বলা হয়েছে হামাসকে নির্মূল করার নামে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আমাদের (ফিলিস্তিনির) ভবিষ্যৎ বংশধরদেরকে হত্যা করে নিশ্চিহৃ করছে কারন দখলদার বাহিনী চাইছে আগামীর গাজা ভূ-খন্ড যেন জনমানব শুন্য খা খা মরুভূমিতে পরিনত হয়। আজকের শিশুদের হত্যা করলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বিনষ্ট হবে এবং নারীদের কে হত্যা করলে বংশ বিস্তর তথা ফিলিস্তিনি জন্ম নির্মূল হবে। হামাস আরও বলেছে ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষে কোন অবস্থাতেই হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয়, কারন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং ফিলিস্তিনিদের কে রক্ষা করতেই হামসের জন্ম। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বারবার বলে আসছে তারা হামাসের দুর্ভেধ্য ঘাঁটি এবং সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে একই সাথে দখলদার বাহিনী বলে চলেছে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাদেরকে হত্যা করেছে কিন্তু বাস্তবতা হলো গাজার প্রতিটি প্রান্তরে উত্তরগাজা হতেমধ্য ও পশ্চিম গাজা, মধ্যগাজা রামাল্লা, খান ইউনিস,রাফা সর্বত্র দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের চরম প্রতিরোধ হামলার মুখে পড়ছে। কোন কোন সময়ে কোন কোন এলাকাতে দখলদার বাহিনীর ট্রাংঙ্ক সহ জোয়া খান হামাস যোদ্ধারা ধ্বংস করছে। মধ্য গাজায় পুনঃ গঠনে এব বসতবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ী ও ফেলে যাওয়া মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ফিলিস্তিনি পুলিশ বেসামরিক নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর গতাকল বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী এ সময় ইসরাইল বাহিনীর সদস্যরা সথল অভিযান পরিচালনা করে অন্তত পঞ্চাশ জন নিরাপত্তা কর্মি ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল হামাস নিয়ন্ত্রীত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে পুরো গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আর এ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য চিকিৎসা সেবা গ্রহনের সামান্যতম সুযোগ থাকলো না। খান ইউনিসের আল আকসা হাসপাতাল এখনও পযন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। গতকালও হাসপাতালটির বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা আল নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদেরকেও গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে। অন্যদিকে রাফা শহরের বিখ্যাত হাসপাতার আল নাসের বাবরার বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করার পাশাপাশি আল নাসের হাসপাতাল মাটির সাথেমিশিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মাতা এতটুকু পর্যায়ে পৌছেছে যে আশ্রয় শিবির গুলোতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের নির্মাতা এতটুকু পর্যায়ে পৌছেছে যে আশ্রয় শিবির গুলোতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করে ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে। দীর্ঘ বিরতির পর সৌদি আরব আবারও ইসরাইলি বিমান হামলা ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যারবন্ধে জাতিসংঘ সহ বিম্ব নেতৃত্বকে আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরব গতকাল প্রকাশ্য জানান দিয়েছে যে সময় এসেছে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার চীন এবং রাশিয়া ইসরাইলের আগামী দিনের করুন পরিনতি ভোগের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছে। মার্কিন মালবাহি জাহাজে হুতিদের হামলা বর্তমান সময়ে আলোচিত ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের উপর আবারও হামলার ঘোষনা দিয়েছে। হিজবুল্লাহ হামলা অব্যাহত রেখেছে। আল জাজিরা অত্যন্ত করুন সংবাদ দিয়ে বলেছে গাজায় ক্ষুধায় যন্ত্রনায় অন্তত বিশজন ফিলিস্তিনি মৃুত্য বরন করেছে। এবং বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি সদ্য কষ্ঠে নিরবে মত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি হত্যার এই মহা উৎসবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিমতীরে বসতিস্থাপন শুরুর ঘোষনা দিয়েছে ইসরাইলের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে তারা অতি দ্রুত সময়ে পশ্চিম তীরে চৌত্রিশ শতবসতিস্থাপন করবে অথচ এই তীর গাজা ভূখন্ডের।