কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবল হোসেন বিকাল ৫ টা পর অফিস করাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মাহমুদ সচিবকে পেটানোর মামলায় চেয়ারম্যান আটক। উলেখ্য ২১ মার্চ বিকাল ৫ টায় সচিব ইকবল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাসায় ফেরার পর সন্ধ্যা ৬ টায় চেয়ারম্যান ফোনে তাকে পরিষদে আসতে বলে। এসময় সচিব সকালে আসবে বলে জানালে চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসে পরিষদে। সূত্র জানায়, সচিব ইকবল পরিষদে চেয়ারম্যানের রুমে ঢোকার পর তাকে কয়েকজন বেধে ফেলে চেয়ারম্যান নিজেই বেধড়ক মারপিট করে ফোন কেড়ে নেয়। তবে সচিব পরিষদে ঢোকার আগেই ডিডিএলজি খুলনাকে ফোন করে জানালে তিনি চেয়ারম্যান কি বলে তা জানাতে বলেন। ঘটনাটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌছে সচিবকে উদ্ধার করে এবং লিখিত নিয়ে আহত অবস্থায় সচিবকে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়। ঘটনার পর আহত সচিব আত্মীয়দের সহযোগিতায় জায়গীরমহল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। অতঃপর সোমবার কয়রা থানায় চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মাহমুদের নামে সচিব বাদী হয়ে মামলা করলে কয়রা থানা পুলিশ একই দিন বিকাল ৩ টায় চেয়ারম্যানকে দেড়ায়া গ্রামের তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। পুলিশ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীকে কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। কয়রা থানা মামলা নং-১৬। এদিকে চেয়ারম্যান আটক হওয়ায় সমগ্র উপজেলায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে পক্ষে বিপক্ষে।