শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

কয়রায় এমপি বাবুর চেষ্টায় মেরামত হলো ধ্বসে যাওয়া বাঁধ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা হরিণখোলা কপোতাক্ষ নদের ভেরিবাঁধে ভাঙ্গন রক্ষায় রাত থেকে এলাকায় থেকে কাজ তদারকি ও স্থানীয়দের সাথে কাজ করে ভেরিবাঁধ রক্ষা করেছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ মো.আক্তারুজ্জামান বাবু। ভেরিবাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বাঁধা সম্ভব না হলে ভেঙে নোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ছিল কয়রা উপজেলা। ঘূনিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কয়রার কপোতাক্ষ নদের গোবরা হরিণখোলা বেড়িবাঁধ ধস শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য নির্মিত হরিণখোলার ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২০০ ফিট ধসে যায়।ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ ভোর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর দিকনির্দেশনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা কাজ শুরু হয়। ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধে উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের সাথে কাজ ও দাড়িয়ে তদারকি করেন এই সংসদ সদস্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, কয়রা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ। স্থানীয় গোবরা গ্রামের বাসিন্দা মো.হাফিজুর রহমান বলেন, এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন।এ বছর বাঁধটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।বাঁধটি অত্র উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে উচু বাঁধ। হরিণখোলায় বাঁধের একজায়গায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিবার নিয়ে ভয়ে ছিলাম।সকাল বেলায় বাঁধে কাজ হওয়ায় এখন দুশ্চিন্তা মুক্ত আছি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, উপজেলা সিত্রাংয়ের প্রভাবে বড় ধরণের ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। উপজেলার ১১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে শুকনা খাবার বিতরণ ও তদারকি করি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এলাকায় থেকে প্রশাসন ও নেতাকর্মী নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খাদ্য বিরতণ ও সবকিছু তদারকি করেছি। উপজেলার একটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দেয় তাৎক্ষনিক মেরামত করা হয়েছে, সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে উক্ত স্থান দ্রুত ঝুঁকিমুক্ত করতে। তিনি বলেন, এসব বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com