কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের খাসিটানা গ্রামে নদীতে শেষ ভাটা চলাকালে ধ্বসে পড়েছে বেঁড়িবাঁধ। জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে জরুরি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় শাঁকবাড়িয়া নদীতে ভাটার টানে ১৩-১৪/১ নং পোল্ডারের ২০০ ফুট এলাকা ভেঙ্গে নদীগর্ভে ধ্বসে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর জন্য চেষ্টা অব্যহত রেখেছে এবং সহযোগিতা করছেন পাউবো। দক্ষিন বেদকাশী গ্রামের সমাজ সেবক আছাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, গত কাল ৯ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়ে এবং সেখান আজ ভোর রাতে ভেঙ্গে যায়। তবে নদীতে ভাটা থাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি। কিন্তু দুপুরের জোয়ারের আগেই বাঁধ আটকানো সম্ভব না হয় তাহলে দুপুরের জোয়ারে এলাকায় পানি প্রবেশ করবে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের(ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খাঁঁন বলেন, খাঁসিটানা হারুন গাজীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ করেই ভাটার টানে ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে ধ্বসে গেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করলে তারা সরেজমিনে এসে নির্শাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করায় রিং বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, দক্ষিন বেদকাশী খাসিটানার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে খবর পেয়ে আমি স্থানীয় কতৃপক্ষকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রোকুনুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। আশা করি দুপুরের জোয়ারের আগে বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে। সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমানে জলোচ্ছাসসহ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নেই, কিন্তু নদীতে এলোমেলো স্্েরাতের কারনে সম্পূর্ণ ভাটার সময় বেঁড়িবাঁধ ধ্বসে পড়ার বিষয়টি দুঃখজনক হলেও চলতি বছর কয়রায় চরামুখা, হরিনখোলা, খাসিটানা, মঠবাড়ী, কাটকাটা, গাববুনিয়া ও হরিহরপুরে এধরনের নদী ভাঙ্গন দেখা গেছে। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর আতংক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ভাঙ্গনের মুখে দক্ষিন বেদকাশীর মানুষ। যখনি মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখনি আবার কোন না কোন জায়গায় দূর্যোগ ছাড়াই নদী ভাঙন দেখা দেয়। এদিকে এ রিপোর্ট লেখার কিছুক্ষণ আগেই আটকাতে রিংবাঁধ দিয়েই জোয়ারের পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে এবং পাউবো সহ স্থানীয় জনতা কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে।