এফএনএস: দেশে নতুন ভোটার হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত খসড়া হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, হালনাগাদের আগে ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এ হিসেবে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ভোটার বাড়ার হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি। বাড়ি বাড়ি ভোটার হালনাগাদ ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু: নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, আইনানুযায়ী চলতি বছর হালনাগাদের যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে তা অন্তর্ভুক্ত করে হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা করা হবে প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি। আর চূড়ান্ত তালিকা হবে ২০২৬ সালের ২ মার্চ। এছাড়া বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তে বছর শেষে ভোটার যোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদি এর আগে জাতীয় নির্বাচন হয় এবং প্রয়োজন হলে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি জানান, ২০২৪ সালে হালনাগাদে যোগ হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন নতুন ভোটার। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৬ জন এবং মহিলা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৪ জন ও হিজড়া ৬২ জন। নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটার বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুন। হালনাগাদের পর খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজাট ১০৩ জন এবং মহিলা ৬ কোটি ০৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন ও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৯৯৪ জন। মোট ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।