মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতিনিয়ত ভাংগনে ইছামতি ও কালিন্দী নদী \ ছোট হয়ে আসছে সাতক্ষীরা \ বাংলাদেশ হারাচ্ছে ভূ—খন্ড \ স্থায়ী সমাধান জরুরী প্রয়োজন মেগা প্রকল্প গ্রহণ \ এখনই সময় দেবহাটা সর: পাইলট হাইস্কুলের শহীদ মিনার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শ্যামনগরে গর্ভবতী গরু জবাই \গ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা সাতক্ষীরায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন সাতক্ষীরায় প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম রসুলপুর জান্নাতুল ফিরদাউস কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাদ ঢালাই উদ্বোধন ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর আবাদী জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত খুলনায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

খাদ্যপণ্যের বাজার দিন দিন বড় হওয়ায় বাড়ছে গম আমদানি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস : দেশে খাদ্যপণ্যের বাজার দিন দিন বড় হওয়ায় গম আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। গত ২০২৪ সালে বিশ^বাজারে গমের দাম নিম্নমুখী থাকায় রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছে আমদানিকারকরা। ২০২৪ সালে প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে। আর ২০২৩ সালে আমদানি হয়েছিল ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টন। ওই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। গত আট বছরে আমদানি বৃদ্ধির এই হার সর্বোচ্চ। সরকারি—বেসরকারি দুই খাতেই গম আমদানি করা হয়। ২০২৪ সালে সরকারি খাতে গম আমদানি ২০২৩ সালের তুলনায় ৯২ শতাংশ বেড়ে প্রায় নয় লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। আর বেসরকারি খাতে প্রায় ২৯ শতাংশ বেড়ে ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে গমের চাহিদার ১৪—১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। আর চাহিদার বাকি ৮৫ শতাংশই আমদানি করা হয়। গত বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলে গমের সরবরাহ ছিল ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গত বছর রাশিয়া থেকে আমদানি হওয়া গমের অর্ধেকই এসেছে। ওই দেশটি থেকে আমদানি হয় ৩৬ লাখ ৫৯ হাজার টন গম, যা মোট আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ। সূত্র জানায়, দেশের মানুষ এখণ গমের খাদ্যপণ্য বেশি খাচ্ছে। পাশাপাশি গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের রপ্তানিও বাড়ছে। আর চাহিদার কারণে গতবছর রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হয়েছে। কারণ স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে মানুষ ভাত কমিয়ে গমের খাবারের প্রতি ঝুঁকছে। ধনীদের খাবারের তালিকায় রুটি প্রাধান্য পাচ্ছে। আবার দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রতিবছর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় তারা এক বেলা ভাতের পরিবর্তে রুটি খান। দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। তাছাড়া দামের কারণে এখন গরিব মানুষও আটার রুটিতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কারণ বাজারে চালের চেয়ে আটার দাম কম। তবে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষ গমের খাদ্যপণ্য বেশি খান। ছয় বছরের ব্যবধানে গ্রামের চেয়ে শহরে গমের খাবারের ব্যবহার বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এর বিপরীতে চালের ভোগ ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে। সূত্র আরো জানায়, দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো এখন খাদ্যপণ্যের বাজার নজর দিচ্ছে। আর চাহিদা বৃদ্ধিতে ওসব শিল্প গ্রুপ খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করে। খাদ্যপণ্য তৈরিতে শুধু প্রাণ—আরএফএল গ্রুপেরই বছরে দেড় লাখ টনের বেশি আটার প্রয়োজন হয়। এই খাদ্যপণ্য দেশে বাজারজাতের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে নুডলস, বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুরসহ শুকনা খাবার এবং হিমায়িত খাদ্যপণ্য গম দিয়ে তৈরি হচ্ছে। বিশে^র ৯৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি খাদ্যপণ্য। তাতে বছরে রপ্তানি আয় হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি ২০২৪—২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুকনা খাবার রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। এদিকে ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে। দেশীয় ভোগের পাশাপাশি গমের তৈরি খাদ্যপণ্য রপ্তানিও হচ্ছে। গম আমদানি বাড়লে খাদ্যপণ্য তৈরির বড় কারখানা, বেকারি, কনফেকশনারি ও হোটেল—রেস্তোরাঁয় কর্মব্যস্ততা বাড়ে। আবার গমের উপজাত ভুসি প্রাণী ও পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণী ও পশুখাদ্য হিসেবে সাধারণ আমিষযুক্ত গমেরও ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গম আমদানি বাড়ার বিষয়টি ইতিবাচক। সরকার গতবছর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গম আমদানি বাড়িয়েছে। আবার বেসরকারি খাতেও গমের ব্যবহার বেড়েছে। গমের তৈরি পণ্যে মূল্য সংযোজন হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com