খুলনা প্রতিনিধি \ গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কল্যাণ সভা কল্যাণ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। সভার শুরুতে বিগত কল্যাণ সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অত:পর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সমষ্টিগত দাবী—দাওয়ার বিষয়গুলো পুলিশ কমিশনার মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং সেগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় খুলনা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম স্বাস্থ্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি জানান তীব্র দাবদাহে ডিউটি পালনের সময় নিজেকে সুস্থ থাকার জন্য বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্যালাইন গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এরপর বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে ৪ জন পুলিশ এবং ১ জন নন পুলিশ সদস্য (সিভিল স্টাফ) অবসরে যাওয়ায় পুলিশ কমিশনার তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। একইসাথে তাদের অবসরকালীন সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সর্বস্তরে সকল প্রকার সুযোগ—সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সুপারভাইজিং পদের কর্মকর্তাগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। যে কোন ধরণের সমষ্টিগত সমস্যা হলে মাসিক কল্যাণ সভার অপেক্ষায় না থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে উপস্থাপন করে তা সমাধান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, জনগণের সাথে ভাল আচরণ, কর্মস্থলে ডিসিপ্লিন রক্ষা ও আইনগত বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সকল পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে অবশ্যই ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। কেএমপির কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন, মাদক ও জুয়ার সংশ্লিষ্টতা এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ লাইন্স ব্যারাক, থানা, ফাঁড়ি কম্পাউন্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীর আইন—শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সবাইকে আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। কল্যাণ সভায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান—সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার—ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।