খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিলুর রহমান চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন। এসময় গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাদুঘর তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন মাধ্যমে গণহত্যার নির্মমতা ও ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই জাদুঘরের প্রয়াসকে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। তিনি জাদুঘরের প্রতিটি গ্যালারি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর আগে বিভাগীয় কমিশনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উলেখ্য ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর হিসেবে ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরকে জমি ও বাড়ি উপহার দেন এবং সেটিকে সংস্কার করে খুলনার ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের নিজস্ব ভবনে গণহত্যা জাদুঘর নতুন করে যাত্রা শুরু করে। জাদুঘর ভবনটির ভগ্নদশা এবং প্রদর্শনের জন্যে স্থানের অপ্রতুলতার দরুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জরাজীর্ণ জাদুঘরের ভবনটি ভেঙ্গে মাস্টার প্ল্যান করে নতুন কাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় হতে জরাজীর্ণ জাদুঘরটি ভেঙ্গে স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক নকশা প্রণয়নপূর্বক নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ছয়তলা বিশিষ্ট নতুন জাদুঘর ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা এখন বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।-তথ্য বিবরণী