সিরাজুল ইসলাম, খুলনা থেকে ॥ খুলনা রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাট কল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে নষ্ট হচ্ছে ৫ হাজার তাঁত সহ অন্য অন্য মেসিনের যন্ত্রাংশ্য। রক্ষণাবেক্ষণের নেই প্রজাপ্ত পরিমান অর্থ বরাদ্দ। দীর্ঘ দিন বন্ধ হওয়া মিল গুলো ২০২০সালে জুলাই মাসের পর তিন মাসের মধ্যে লিজের মাধ্যমে চালু করার আশ্বাস ও চালু করতে পারিনি সরকার। এরপর পাট কল গুলো দেরি করে চালু করা হলেএকই যন্ত্র দিয়ে উৎপাদনে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিজে এম সি থেকে যানা যায়। খুলনা রাষ্ট্রায়ত্ত পাট গুলোতে ৫ হাজার ৩৮টি তাঁত মেশিন আছে। খালিশপুর জুট মিলে তাঁতের সংখ্যা ৮৯১টি ক্রিসেন্ট জুটমিলে ১ হাজার ১৩৮টি সব চেয়ে বেশি প্লাটিনাম জুটমিলে ১৫৭ টি দৌলতপুর জুটমিলে ২৫০টি স্টার জুট মিলে ৭৭০টি জেজেআইতে ৪৬৬টি ইষ্টানে ২৭৫টি আলিমে ২৫০ টি কার্পেটিংএ রয়েছে ৮৬ টি তাঁত ২০০২ সালে মিল গুলো বন্ধ করার পর পুনরায় চালু করে আওয়ামীলীগ সরকার। ২০২০সালে ১লা জুলাই মিলগুলি আবার বন্ধ করে দেয়। এতে ৩৩ হাজার ৩০৬ জন শ্রমিক কর্মচারী চাকরি হারান। মিলের মধ্যে প্রবেশ করে দেখা যায় ৩/৪জন নিরাপত্তা কর্মী ও তাত মেশিন লাইনের মধ্যে ৫/৬জন কর্মচারী ছাড়া ভিতরে আরকেহ নেই। মেশিনের পরে জমে গেছে ধুলাবালি কোনোটায় রয়েছে মাকড়সার জাল, কিছু যন্ত্রতে মরিচা পড়েছে দেওয়াল থেকে প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। প্লাটিনাম জুটমিলের সি,বি,এর সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানক জানান মিলগুলো বন্ধ করার সমায় বি,জে এম,সি শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছিলো ৩ মাসের মধ্যে আধুনিকায়ন করে লিজের মাধ্যমে মিলগুলো চালু করবে,লিজ দিতে কয়েক দফা দরপত্র আহব্বানও করা হয়েছে,তবে কোনো পাটকল চালু হয়নি।তিনি আরোও বলেন দীর্ঘদিন ধরে মিল বন্ধ থাকায় তাঁত সহ অন্যন্য যন্ত্র পাতি বিকল হতে পারে। দ্রুত মিল গুলো চালু না করলে এই যন্ত্র দিয়ে আর উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে না।