সিরাজুল ইসলাম, খুলনা থেকে ॥ খুলনা বন্ধকৃত মালিকানাধিন মিলের শ্রমিকরা অবরোধ করেও তাদের, পাওনা টাকা আদায় করতে পারেনি। কিছু অসাধু শ্রমিক নাম ধারী নেতা মালিকের সাথে গোপন সক্ষতা রেখে রাতের আধারে মিলের মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত ৯০ দশকের পর থেকে, একের পর এক করে সরকারি বে সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়াতে বর্তমানে খুলনা এখন রুগ্ন শহরে পরিনত হয়েছে। উল্লেখ গত ২০২০সালে ঘোষণা ছাড়া এক সাথে ৯টি রাষ্ট্রায়াত্য পাট কল সহ কিছু বেসরকারি ও অন্য অন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন পার করলেও বঞ্চিত থাকছে তাদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া বেতন প্রাপ্য থেকে। এনিয়ে বার বার আন্দোলন সংগ্রাম করলে ও টনক নড়ছে না সরকার সহ ব্যাক্তি মালিকানা ধিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। জেলা প্রসাশকের কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি পক্ষিয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিষদের আগ পযন্ত মিলের ভিতর থেকে কোন মালামাল বের করা যাবে না। কারন বেতন বঞ্চিত শ্রমিকরা বড় অসহায় অবস্থার মধ্য দিন পার করছে। মহাসেন জুট মিলের শ্রমিকরা ৯ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের চুড়ান্ত পাওনা আজও পয়নি। সোনালী এজাক্স আফিল জুট মিলের একই অবস্থা। মিল মলিকরা মিল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যাংক লোন নিয়েছে সে টাকা অন্য খ্যাতে ব্যায় করে আরাম আয়শে আছে। শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনার দাবিতে রাজপথে নামতে হচ্ছে। এরা ধুকে ধুকে মরার চেয়ে একবারই মরতে চায়। শ্রমিক ঠকানো মলিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।