এফএনএস: খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ও মো. সোহাগ শেখ। অপরদিকে মামলার আরেক আসামি আশুতোষ ব্যাপারীকে খালাস দেওয়া হয়। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন জানান, ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক খান ইবনে জামানকে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার দুই পা দড়ি দিয়ে ও হাত লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাহাব উদ্দিন খান বাদী হয়ে পরদিন মামলা করেন। পরে ২১ অক্টোবর র্যাব সদস্যরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু ও মো. সোহাগ নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা জামানকে হত্যা করে বলে ওই দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর নিখিল চন্দ্র মন্ডল ওই তিনজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। সেখানে বলা হয়, খান ইবনে জামান চিরকুমার ও সমকামী ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক সমকামিতা করতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যা করে। ২০০৯ সালের ৩ জুন মামলার বাদী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মুখ্য মহানগর হাকিম মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এস আই আবদুল গফুর চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা ছিলেন শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু, মো. সোহাগ ও আশুতোষ ব্যাপারী।