মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

খুলনায় কোরবানীর পশুর হাট বসছে প্রস্তুত ৯২ হাজার পশু

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ খুলনা জোড়া গেটসহ জেলায় ২৭টি কোরবানির পশুর হাট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ২২জুন খুলনা জোড়াগেট বৃহৎ পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। ঈদ-উল আজহার দিন সকাল পযন্ত বিরতিহীন ভাবে পশু কেনাবেচা চলবে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে এবার খুলনায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু লালন-পালন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানির পশু তুলতে শুরু করেছেন খামারিরা। মহানগর ও জেলায় এবার পশুর হাট বসবে ২৭টি। এর মধ্যে জেলার ৯টি উপজেলায় ২৬টি ও মহানগরে একটি হাট বসবে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে,এ বছর জেলায় ৯২ হাজার ৩৭৫টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে গরু ২৬ হাজার ৪১৬, ছাগল ৬৩ হাজার ৪৭৫ ও ভেড়া দুই হাজার ৪৩৮টি। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৯ হাজার ৮৬৭টির। হিবেবে প্রায় তিন হাজার পশু বেশি আছে। খামারিরা বলছেন,এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ায় কেনাবেচা কম হচ্ছে। ফলে লাভও কম হবে। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু দেশে না এলে বেচাকেনা ভালোই হবে। দামও ভালো পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ২৬টি হাটের মধ্যে রূপসায় তিন, ফুলতলায় এক, পাইকগাছায় চার, ডুমুরিয়ায় চার, তেরখাদায় এক, দিঘলিয়ায় চার, দাকোপে দুই, কয়রায় ছয় ও বটিয়াঘাটায় একটি হাট বসবে। পাশাপাশি মহানগরে একটি হাট বসবে। জেলার কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারিরা পশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। শেষ মুহূর্তে পশুগুলোর বাড়তি যতœ নিচ্ছেন তারা। কেউ কেউ বাজারে পশু উঠালেও দাম কম বলায় বিক্রি করেননি। কয়েকজন খামারি জানিয়েছেন,সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু লালন-পালন করছেন তারা। খাবার হিসেবে আলু, খেসারির ডাল, মসুর ডাল, খড়, খৈল ও ধানের কুঁড়া খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এবার গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশু পালনে বেশি অর্থ খরচ হয়েছে তাদের। ফলে বাজারে পশুর দাম বেশি থাকবে। পশু পালনে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন বলে জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. এস এম আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে নিরাপদ মাংস যাতে মানুষ পায়, সেজন্য আমরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। অধিকাংশ খামারের পশুগুলো ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে এখনও বাজার জমেনি। জুনের শেষভাগে জেলার পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com