সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে ॥ খুলনা জেলায় ১ হাজার ১৫৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জন এর কম ৪৬ টি বিদ্যালয় ২০১৩ সালের জাতীয় করনের আওতায় পড়েছে। তাই পার্শ্ববর্তী
স্কুলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভাগাভাগি করে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। খুলনা জেলার কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম যে সব স্কুল তো গড়ে উঠেছে এমন কোন এলাকায় সেখানে জন বসতি খুবই কম হাওড়ের দ্বীপ এলাকা,।শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৫০ এর কম শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৫ টি তেরখাদা উপজেলায় ৩ টি পাইক গাছায় ৬ টি কয়রা উপজেলায় ৪ টি ও রুপসা উপজেলায় ১টি। কয়রা উপজেলার বেদকাশি ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা মোট ৩৫ জন এ স্কুলে শিক্ষক রয়েছে ৪ জন, প্রধান শিক্ষক সাইফুল্লাহ বলেন এখান কার বেশীরভাগ মানুষ সচেতন ও শিক্ষিত এখানে জন্মের হার কম, এর বাইরের গ্রামটি দ্বীপবেষ্টিত এলাকা এখান থেকে বের হতে গেলে নদী পার হতে হয় তাই, কোন শিশু ঝুঁকিতে স্কুলে আসে না। এজন্য এ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। ডুমুরিয়া উপজেলায় ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩ জন স্কুলটিতে শিক্ষক রয়েছে ৩ জন এর মধ্যে ১ জন পার্শ্ববর্তী স্কুলে স্থানান্তরিত হয়েছে বাকি ২জন এ স্কুলে রয়েছে। এই স্কুলের প্রধানশিক্ষক সপ্নারানী বলেন স্কুলের আশেপাশে জন বসতি খুবই কম, একসময় স্কুলে ৬০ জনের মত শিক্ষার্থী ছিলো তারা সবাই বড় হয়ে মাধ্যমিক স্কুলে চলে গেছে। গ্রামে বর্তমান ৫০টি পরিবার বসবাস করে শিশু জন্মের হার কম। ফলে নতুন শিশু না থাকায় শিক্ষার্থী আর বাড়ছে না। সপ্নারানী আরো বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাদের কাছে ভর্তি বিষয় তথ্য চাওয়া হয়।আমরা সঠিক তথ্য জমা দিয়েছি। সম্ভবত আমাদের স্কুলটি পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে খুলনা বিভাগের মধ্যে এমন কম শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৬টি জেলায়। এর মধ্যে যশোরে ১৬টি, বাগেরহাটে ৩টি, সাতক্ষীরায় ৩টি, ঝিনাইদাহ ২টি, ও নড়াইেল ৬টি। এ বিষয় খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মসলেমউদ্দিন বলেন বেশ কিছু স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম এগুলোর জন্য প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি সামাজিক কারণ রয়েছে। ফলে এই সব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। শিক্ষকরা ও অনেকটা গা ভাসিয়ে কাজ করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সব স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম সে গুলোকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করে ক্লাস করানো হবে। এর ফলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হবে ও পাঠ গ্রহনে আগ্রহ বাড়বে। শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্কুল গুলোর দুরত্ব বিবেচনায়। ৫০ এর কম শিক্ষার্থী বিদ্যালয় গুলোকে চিহ্নিত করে আমরা তালিকা পাঠাছি মন্ত্রনালয়ে সেখান থেকে যে নির্দেশনা দিবে সে ভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে।