জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ এর উদ্বোধন রবিবার সকালে খুলনার খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যৎ দেশের সকলক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। তাই দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে শিশুদের সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিশুর স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার জাতীয় কৃমি সপ্তাহসহ বিভিন্ন দিবস পালন করছে। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনে কোন শিশু যেন বাদ না যায় সেদিকে অভিভাবকদের প্রধান দায়িত্ব হবে শিশুদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা। তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা এগিয়ে চলেছে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন অত্যন্ত জরুরি। কেসিসি’র ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ষ্ট্যাডিং কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম কামাল হোসেন ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ অপর্ণা বিশ^াস বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার। এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এবারে সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে এক লাখ ৪৯ হাজার সাতশত ৭০ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে চারশত ৯২ টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৯৩ হাজার আটশত ৭২ এবং ৯৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার আটশত ৯৮জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুরে কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও আন্ত:কক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারে একারণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই কলেজটি শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। লেখাপড়া করা যেমন দরকার তেমনি শারীরিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সরকার খুলনাকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে ইতোমধ্যে অনেক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে হলে নগরবাসীকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ। অনুষ্ঠানে ছাত্রী সংসদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রফেসর মোঃ আব্দুল জব্বার বক্তব্য দেন।-তথ্য বিরবণী