সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্ধার করা অন্যতম বিষধর খৈয়া কেওটে সাপটি অবশেষে সুন্দরবনের করমজলে অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার একটি চিংড়ি ঘেরে পানি সরানোর সময় জালে আটকা পড়ে একটি বিষধর খৈয়া কেওটে সাপ। খরব পেয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা ওই চিংড়ি ঘেরের জালে আটকে পড়া প্রায় ৬ ফুট লম্বা বিষধর সাপটি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। এই খৈয়া কেওটে সাপটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘নাজা নাজা’। বিষধর হওয়ায় মানুষকে কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবার ঝুঁকি থাকায় আজ সকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এলাকার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির বলেন, সারাদেশে ১০৫ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এরমধ্যে ২৬ প্রজাতির সাপের বসবাস সুন্দরবনে। বাকি ৭৯ প্রজাতির সাপ মানুষের বস বাসের আশ পাশ জলও স্তলে বস বাস করে। সাপ সাধারণত দুই প্রকার ফনাধর সাপ ও ফনা বিহিন সাপ তবে বিষ কম বেশি সব সাপেরই আছে। ১০/ বিষ যদি কোন মানুষের শরিরে প্রবেশ করতে পারে তা হলে তাকে বাঁচানো খুবই কঠিন। অনেক বিষধর সাপ মানুষের বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশের ফেলানো খাবার খেতে ছুটে বেড়ায়। গ্রামের বাগানে বিল খালে সাপের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। পলিগ্রামের কাচাঘরে থাকা মানুষেরা সাপের অত্যাচার সয্য করে আসছে বরাবর।