খুলনা ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ডায়াবেটিস বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার শুক্রবার রাতে নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ডায়াবেটিস মানবদেহে বহু জটিলতা তৈরি করে। এই রোগ হলে অন্ধত্ব, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, স্ট্রোক ও পঙ্গুত্বের মতো অন্য সব রোগ দেহে বাসা বাঁধবে। ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্যে শর্করার পরিমাণ কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তিনি আরও বলেন, খুলনা ডায়াবেটিক সমিতি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্বল্পমূল্যে এই প্রতিষ্ঠান সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বিত্তবানদের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সেমিনারে জানানো হয়, ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ৫৪ কোটির বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতি সাত সেকেন্ডে বিশে^ একজন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ডায়াবেটিসের কারণে বিশে^ প্রায় ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে দিন দিন ডায়াবেটিস রোগী বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এখন এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালে দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে প্রতি ১২ জনে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম খাবার গ্রহণ, নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ এবং ইনসুলিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে আজাদ খান, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইসরাইল বিশ^াস ও অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রশিদী মাহবুব। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা ডায়াবেটিক সমিতির আহবায়ক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারডেম হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি ও ডায়াবেটোলজি বিভাগের প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফারুক পাঠান। স্বাগত জানান মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স ফার্মাকোভিজিল্যান্স এর ম্যানেজার ডাঃ সায়দুল ইসলাম। সেমিনারে খুলনায় কর্মরত চিকিৎসকরা অংশ নেন।-তথ্য বিবরণী