এফএনএস: খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে খুলনা মহানগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সড়কটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। একইসঙ্গে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন-জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর ছাত্রদলের আহŸায়ক ইশতিয়াক হোসেন ইস্তি ও রূপসা উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদসহ ১২ জন। সংঘর্ষের পর পুলিশ কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির অফিস ঘেরাও করে রাখে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ শতাধিক নেতাকর্মী আটকা পড়েন। এ ঘটনার পর বিকেল ৪টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেছে বিএনপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সংঘর্ষের পর দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী দাবি করেন, সারা দেশের মতো খুলনাতেও তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ বিনা কারণে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। খুলনা থানার সামনে দিয়ে একটি খÐ মিছিল এই কর্মসূচিতে আসার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশের হামলায় বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। একইসঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে ঈদের পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা আহŸায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, যুগ্ম আহŸায়ক আশরাফুল আলম নান্নুসহ দলের মহানগর ও জেলা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপির একটি প্রোগ্রাম ছিল। আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম যাতে শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘœ না ঘটে। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপির দুটি দল দুই দিক থেকে আসে, ¯েøাগান দিতে থাকে। এদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ করে আমাদের ইটপাটকেল মারা শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্যাসগান ও শর্টগান মারতে বাধ্য হই। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিএনপি অফিস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই ডেপুটি কমিশনার।