সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে \ ২০০২ সালে ৩০শে নবেম্বর চুলি তেলের দাম বাড়ার কারনে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলটি বন্ধ করে দেয়। বর্তমান যাদের বয়েস ৩২ সের বেশি তারা স্কুল জীবনের সৃতি নিউজপ্রিন্ট কাগজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে খুব পাতলা কাগজ তেল জাতিয় কোন পদার্থ লাগলে একটি পাতার সঙ্গে আরো পাতা সুয়ে পড়ত। এই কাগজের দাম অপসেট বা নিউজ পেপারের চেয়ে অনেকটা কম ছিল। যা অনেক বাজেট -সচেতন সল্প আয়ের বাবা-মাকে তাদের সন্তানের জন্য নিউজপ্রিন্ট কিনতে উৎসাহিত করত। তবে এটা আর সহজলভ্য নয়, যে মিলে কাগজ তৈরি করত তা গত ২১ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। সুন্দরবনের কেওড়া গাছের উপর নির্ভর করে ১৯৫৯ সালে ৮৭ দশমিক ৯৬ একর জমিতে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল স্তাপিত হয়। ৮০ দশকের পর মিলটি বিভিন্ন কারনে লোকসানের দিকে ধাবিত হয়। ১৯৯৮ সালে মিলের ৮৮ দশমিক ৬৭৫ একর জমি সোনালী ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ৫৭ কোটি টাকা ঋণ গ্রহন করে। ২০০২ সাল পযন্ত মিল চলার পরে অর্থসংকটের কারনে মিলটি বন্ধ করে দেয়। এই মিলে ২৫০০ শত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ২১ বছর ধরে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের মালা মাল দেখা ও মিলটি রক্ষনা বেক্ষনা দয়িত্ব
পালন করে বাংলাদেশ ক্যামিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসি,আইসি) কর্মকর্তা ও কর্পোরেশনের গুটি কয়েক নিরাপত্তা কর্মির বেতন ওঅফিস খরচ বাবদ ৩৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে সোনালী ব্যাকের ঋনের পরিমান সুধ-আসলে দড়িয়েছে ৩৭০ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা একই সালে মিল কতৃপক্ষ এই দায়ের মধ্যে ৫৫ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বকেয়া পরিশোধ করে। এই অবস্থায় ব্যাংকের বকেয়া দাড়ায় ৩১৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে বিসি আইসি কতৃপক্ষ বোর্ড সভায় নিউজপ্রিন্ট মিলের জমি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই জমি কেনার জন্য নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোঃ লিঃ এর সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয় শিল্প মন্ত্রলয়ের সঙ্গে.। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোঃ ৫০ একর জমিবিক্রয়ের জন্য মুল্য নির্ধারণ হয়। ৫৮৬ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা এতে বলা হয় ২০১৮ -১৯ অর্থ বছরে ২৫৪ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে ৩৩২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালে ১১ ই নবেম্বর ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোঃ ২০০শত কোটি টাকা শিল্পমন্ত্রলয়ে জমা দেয়। এ বছর ফেব্রোয়ারী মাসে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের ৫০ একর জমির উপর নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোঃ সিমানা খুটি স্থাপন করে। এর পর সোনালী ব্যাংক নড়ে চড়ে বসে। মিলের জমি মালিকানা হস্তান্তরের আগে সকল বকেয়া পরিশোধের জন্য মিল কতৃপক্ষ ও পাওয়ার কোঃ কে চিঠি দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। চিঠির কোন উত্তর মিল কতৃপক্ষ ও পাওয়ার কোঃ দেয়নি, এবং কোন, যোগাযোগ ও আলচনা করেনি। ফলে মিলের প্রধান ফটোকে বন্ধকি নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।