খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ের বইমেলার উদ্বোধন শনিবার বিকালে খুলনার বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বই ছাড়া জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়। বই হোক সকলের নিত্য সঙ্গী। নতুন প্রজন্মকে বইপড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। বইয়ের প্রতি সকলকে যত্নবান হতে হবে। ছেলেমেয়েরা যাতে বেশি করে বই পড়ে সেদিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর আমাদের ছেলেমেয়েরা জ্ঞান অর্জন করুক পাকিস্তানিরা তা চায়নি। এজন্য জ্ঞান অর্জন করার পথে তারা বাঁধাসৃষ্টি করেছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বইমেলা শুরু করেছিলেন। তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের সকলক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অবদান রয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আসাদুজ্জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক নেসার উদ্দীন আয়ুব। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় ও খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বইমেলায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসনের ১০টি স্টল, মিডিয়া কর্নার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নারসহ প্রকাশনা সংস্থা, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ৯০টি স্টল রয়েছে। আট দিনব্যাপী এই বইমেলা সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টি থেকে রাত নয়টা এবং অন্যান্য দিনগুলোতে বিকেল তিনটা থেকে রাত ন’টায় পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন আলোচনা সভা, সেমিনার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধপাঠ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিশু-কিশোরদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।-তথ্য বিবরনী