এফএনএস: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর তীরে থাকা ১৪টি ইটভাটা ৮ ফেব্র“য়ারির মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ না মানায় আদালত অবমাননার মামলায় হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার ইউএনও। এর পর গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিবাদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল ইসলাম। পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, খুলনার হরি ও ভদ্র নদী দখল করে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনা উচ্ছেদ/অপসারণ করার জন্য ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশনা অমান্য করায় আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আবেদনের পর আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তীতে গত বছরের ৩০ অক্টোবর আদেশ দেওয়া হয়। তারপরেও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদন জানালে ৭ ডিসেম্বর ডিসি এবং ইউএনওকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আদেশ অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার এবং ইউএনও শরীফ আসিক রহমান এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন আদালতে হাজির হয়ে এভিডেভিট দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ। এরপর আদালত আগামী ৮ ফেব্র“য়ারীর মধ্যে হরি ও ভদ্রা নদীর তীরে থাকা ১৪টি অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে প্রশাসকদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।