সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে ॥ খুলনা মহানগর সহ তেরখাদা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া উপজেলার ২৮টি খালের ১৪ হাজার বর্গমিটার জমি বেদখল হয়ে আছে। ২০১৯ সালে অভিযানে দখল মুক্ত ২২ টি খালের জমি আবার বেদখল হয়ে পড়েছে। ভূমি কর্মকর্তাদের যোগ সাজশে ভরাট হওয়া সরকারি খালের জমি অনেক ক্ষেত্রে শ্রেনি পরিবর্তন করা হয়েছে। খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনপ্রকপ্ল সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য যানা যায়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইটে দখল হওয়া খালের বিষয় তথ্য উপস্থাপন হয়েছে। নগরীর অভ্যান্তরে নিরালা খাল, মতিয়াখাল, ক্ষেত্রনালী খাল, মান্দারখাল, নবীনগর খাল, তালতলা খাল, ক্ষুদে খাল, রায়েরমহল খাল, মোল্লাপাড়াখাল, বাস্তহারা খাল, ডুবিখাল, সহ অসংখ্য খালের জমি বেদখল অবস্থায় রয়েছে। এতে শহরের পানি নিষ্কাসন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। শীর্ষক খুলনার প্রকৌশলী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে। খুলনা শহরে বসতি বাড়ার সাথে সাথে ময়ূরী নদীও সংযুক্ত ২২ টি খালের জমি ও বে দখল হয়ে আছে। ময়ূরী নদীর জমি বে দখলের পরিমাণ ১০৭৫ বর্গমিটার আয়তন কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। সংযুক্ত হাতিয়াখালী জমির পরিমাণ ৫৬৮০ বর্গমিটার, ক্ষুদেখালের পরিমাণ ১০১০বর্গমিটার, নর্থখাল কাস্টম ঘাট প্রভৃতি এলাকায় খালের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বটিয়াঘাটা উপজেলায় কৃষ্ণনগর মৌজায় ৮ টি খাল বে দখল হয়ে আছে। খালে ভরাট হওয়া জমিতে দলীয় কার্যলয় মুরগিরফার্ম ও বসতবাড়ী নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে রীট করেছেন এলাকাবাসী। তেরখাদা পশ্চিম পাড়া এলাকায় চিত্রানদীর সংযুক্ত খালের জমিতে বসত বাড়ী নির্মাণ কাজ চলছে। এ বিষয় জেলাপ্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরফিন বলেন অতিতে উচ্ছেদ করলে ও ভূমি দূশ্যুরা নদি খালের জমি আবারও দখল নিচ্ছে। শিগগিরই বড় পরিসরে অভিযান চালিয়ে সব খাল দখল মুক্ত করা হবে।