সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে ॥ খুলনা -সাতক্ষীরা ব্যাস্ততম মহাসড়কের যোগা যোগের উন্নত ব্যাবস্থার জন্য গল্লামারী মূয়রী নদীর ২টি ব্রীজ ভেঙে, হাতির ঝিলের আদলে দৃষ্টি নন্দন সেতু নির্মাণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক বিভাগ। নদীর পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা প্রয়জনের তুলনায় কম হওয়ায় খুলনা শহরের প্রবেশদার গল্লামারী মূয়রী নদীর উপর পাশাপাশি নতুন পুরোনো ২টি ব্রীজই বেঙে ফেলা হবে। ব্রিটিশ আমলের সেতুটির পাশে ২০১৬ সালে নতুন ব্রীজ টি মাত্র ৭ বছর আগে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ সব ভেঙে দিয়ে রাজধানীর হাতির ঝিলের আদলের দৃষ্টি নন্দন সেতুর মতন, আরটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। এই সেতু নির্মাণে জন্য দরপত্র শেষে কার্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি। নাগরিক সমাজের নেতারা বলেছেন বিভিন্ন দপ্তরের গাফিলতিতে গচ্চা যাচ্ছে সরকারি অর্থ।
সড়ক ও জনপথ সুত্রে যানাগেছে, জানবাহনের চাপ বাড়ায় খুলনা -সাতক্ষীরা মহা সড়ক চারলেনে উন্নতি কাজ শুরু হলে, ২টি সেতু ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক বিভাগ।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে খুলী নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এডঃ মোঃবাবুল হাওলাদার বলেন, সাত বছর আাগে ময়ূরীনদীর উপর গল্লমারী এলাকায় যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা ছিল অপরিকল্পিত। এত নিছু কোন সেতু হতে পারে না। এমন কজের মাধ্যমে সরকারি অর্থ অপচয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিত। এদিকে ৬৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীটির পানির স্তর থেকে ৫ মিটার উচ্চতা ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার পস্তের চারলেনের একটি নতুন সেতু নির্মাণের উদ্বেগ নিয়েছে সড়ক বিভাগ। সেতুটির নকশা তৈরি করে কার্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনার ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ডঃ মোঃ আশিক-উর রহমান বলেন এ সেতু নির্মাণের পর বদলে যাবে নগরীর প্রবেশদার চিত্র। মূয়রী নদীর দুই পাশে এখন যে পরিবেশ রয়েছে সেটি ও পরিবর্তন হবে। সড়ক বিভাগ যানায় দ্বিতীয় সেতুর দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় বিডব্লিউটিএর অনাপত্তিপত্র না নিলেও নতুন দৃষ্টি নন্দন সেতুটি তাদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, এই সতুটি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন আমি এখানে কর্মরত ছিলাম না ফলে সেতু নির্মাণ করা বিষয়টি আমার বধোগম্য নয়।