খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এপ্রিল মাসের সভা রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ সভায় জানান, দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি সিসা দূষণের বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, ঈদকে সামনে রেখে খুলনা জেলার সকল থানা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন ও হাট-বাজার এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভূমিদস্যুতা বন্ধ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেএমপি’র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান বলেন, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে যেকোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে নগরীর মার্কেটগুলোর আশপাশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ বিগত দুই মাসে বেশ কিছু চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী বলেন, ভূমিদস্যুতারোধে আইন অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা মহানগরীতে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও মানহীন সেমাই যেন বাজারে বিক্রি না হয় সে জন্য বাজার তদারকি বৃদ্ধি করা হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত মার্চ মাসে ২১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত ফেব্রæয়ারি মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৫৮টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে মার্চ মাসে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত ফেব্রæয়ারি মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৩৪টি বেশি। সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।-তথ্য বিবরণী