এফএনএস আন্তজার্তিক ডেস্ক: ২০২৩—২০২৪ সালের যুদ্ধের সময় ৮৯১ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। একই সময়কালে ৩৮ জন বেছে নিয়েছেন আত্মহননের পথ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পাঁচশ ৮৮ জন এবং ২০২৪ সালে ৩৬৩ জন সেনা মারা গেছে। এর মধ্যে ৫১২ জন যুদ্ধ ও অপারেশনে, তিনজন স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলায়, ১০ জন প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য সমস্যায় এবং ১৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। ২০২৪ সালে ৩৬৩ জনের মধ্যে ২৯৫ জন যুদ্ধ ও অপারেশনে, ১১ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলায়, ১৩ জন প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য সমস্যায় এবং ২১ জন আত্মহত্যা করেছেন। ২০২৩ সালে আত্মহননকারী ১৭ জন সেনার মধ্যে চারজন ছিলেন কর্মকর্তা। বাকিদের মধ্যে নয়জন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সেবা দিচ্ছিলেন এবং নয়জন ছিলেন রিজার্ভ সেনা। ২০২৪ সালে নিহতদের মধ্যে দুই কর্মকর্তা, সাত জন বাধ্যতামূলক সেবার কাজে নিয়োজিত এবং ১২ জন রিজার্ভ সেনা ছিলেন ২০২২ সালে ১৪ জন সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন এবং তাদের কেউই সংরক্ষিত ছিল না। ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা কম ছিল। গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন ২০০৫ সালে। আইডিএফ বলছে, সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা একটি বড় সমস্যা। যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ সেনার সংখ্যা বেড়েছে, ফলে আনুপাতিক হারে বেড়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা। নেতিবাচক প্রবণতা বাড়াতে আইএফডি সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ করছে বলে দাবি করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই যুক্তি নাকচ করেছেন। নিহত ৮৯১ জন ইসরায়েলি সেনার মধ্যে ২০২৪ সালে ৩৯০ জন ও ২০২৩ সালে ৩২৯ জন গাজায় নিহত হন। তাদের মধ্যে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতরাও অন্তর্ভুক্ত। উত্তরে লেবাননে ও পশ্চিম তীরেও সেনা হারিয়েছে ইসরায়েল। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যথাক্রমে নয়জন ও ২০ জন সেনা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে, ১৯৪৮—১৯৪৯ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এখনও সবচেয়ে খারাপ ছিল, যেখানে প্রায় ৪ হাজার সেনাসহ ৬ হাজার ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ এখনও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ জন সেনার ক্ষতি হয়েছে। যদি বর্তমান যুদ্ধ চলতে থাকে, তাহলে সম্ভবত এই সংখ্যাটি অতিক্রম করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সামরিক সহযোগিতা পেয়েও নিহত সেনার সংখ্যা প্রায় ৯০০ তে পেঁৗছেছে। এদিকে গাজায় ১৬ মাসের যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছ ৪৫ হাজার ৫৫০। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।