গেল এক সপ্তাহ ধরে বেশ আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার দিন দুটি ইমেইলে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। এরপরই বাড়ানো হয়েছে ভারতীয় দলের সাবেক এ ওপেনারের নিরাপত্তা। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গম্ভীরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পেছনে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এলো চমকপ্রদ তথ্য। এতে ঘটনা মোড় নিয়েছে পুরোপুরি ভিন্ন দিকে। গম্ভীরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন জিগনেশ সিং পারমার নামের ২১ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। গুজরাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ। প্রাথমিকভাবে গম্ভীরকে হুমকি দেওয়ার সঙ্গে তার সম্পৃত্ততা পাওয়া গেছে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের একটি দল গত শুক্রবার পারমারকে আটক করে। ঘটনার পর পারমারের পরিবার দাবি করে, পারমার মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এদিকে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ইমেইলটি একটি সন্দেহজনক জায়গা থেকে পাঠানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইমেইল পাঠানোর সময়ও সন্দেহজনক ছিল। কারণ এটি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের দিনেই সেটি পাঠানো হয়েছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে মর্মান্তিক ঘটনায় প্রায় ২৬ জন নিহত হন। সংশ্লিষ্ট ইমেইল দুটিও ওই তারিখে পাঠানো হয়। দুটি ইমেইলেই মাত্র তিনটি শব্দ ছিল। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি তোমাকে খুন করবো’। এ বিষয়ে সেন্ট্রাল জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এম হর্ষ বর্ধন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ—১৮কে হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘পারমার একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। তার পরিবার দাবি করেছে যে সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তদন্ত চলছে। আমরা একটি ইমেইল আইডিতে প্রাপ্ত হুমকি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, যা গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি তদন্তাধীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘গৌতম গম্ভীর দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা সুরক্ষা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি এবং আমরা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে মন্তব্য করি না।’ গম্ভীরের হত্যার হুমকি পাওয়া নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০২২ সালেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকেই পরিবারসহ গম্ভীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি—টোয়েন্টি বিশ^কাপ ও ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ভারতীয় দলের জার্সিতে ওয়ানডে বিশ^কাপ জয় করেন গম্ভীর। গত বছর তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ড)। ২০২৫ সালের মার্চে তার অধীনেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বে দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে ভারত।