দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ গরুর মাংস বিলাসিতার মুকুট পরিধান করে সিংহাসনে বসেছে। আর এ কারনে মুল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটেই চলেছে। নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেনি নাগাল পাচ্ছে না গরুর মাংসের। রমজান শুরুরপূর্বে মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতার পর এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গরুর মাংসের। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গরুর মাংসের বাজারে মুল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে অনেকে এই মাংস হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। জেলা শহরের বাজার হতে শুরু মফস্বল এলাকার বাজারে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে মুল্য বৃদ্ধি। প্রতি কেজি সাতশত পঞ্চাশ টাকা কোথাও কোথাও সাতশত টাকা। সাতক্ষীরার বাজার পরস্থিতি পর্যবেক্ষন এবং ক্রেতা সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে শুধুই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা তা নয়, কোন কোন অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা বকরির মাংস অবলিলায় এড়ে গরুর মাংস হিসেবে বিক্রি করছে। রোগাক্রান্ত এবং জবাই অনুপযোগী গরু জবাই চলছে অবলিলায়, মানা হচ্ছে না মাংস বিক্রয় নীতিমালা সম্প্রতিক সময় গুলোতে জেলার বিভিন্ন এলাকাতে এক শ্রেনির অসাধু মাংস ব্যবসায়ী রোগাক্রান্ত অসুস্থ গরু জবাই করার ঘটনায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছে। যা নিয়ে ক্রেতা সাধারনের মাঝে ক্ষোভের শেষনেই। কিন্তুবাস্তবতা হলো অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূল্যক শাস্তি কতটুকু হয়েছে তা অধোরা রয়েগেছে। বাজার পরিস্থিতি ঘুরে দেখাগেছে শহরের মাংস ব্যবসায়ীদের মধ্যে মূল্য নির্ধারনে সততা থাকলেও মফস্বল এলাকার মাংসব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিক পরিমান মুল্য গরুর মাংস বিক্রির প্রবনতা লক্ষনীয়। একশ্রেনির মাংস ব্যবসায়ীরা গরু জবায় পরবর্তি মাংস পানিতে ভিজিয়ে ওজন বৃদ্ধির অপৎপরতা পরিচালনায় ব্যস্ত গরুর ফুলকোতে পানি প্রবেশ পরবর্তি বৃহদাকার করা হয়। এমনও অভিযোগ করেছে ক্রেতারা অবিক্রিত মাংস ফ্রিজিং ও বরফজাত করনের মাধ্যমে পরবর্তি দিনে বিক্রির জন্য রাখা হয়। বর্তমান সময় গুলোতে গরুর মাংস বাজারে আবারও ঝড় আর ঝাজ ছড়িয়ে পড়ছে। সামনে ঈদুল সিফতর আর এই ধর্মীয় উৎসকে সামনে রখে ইতিমধ্যে মাংস ব্যবসায়ীরা মাংসের জন্য একধাপ বৃদ্ধির করার প্রবনতায় জড়িয়ে পড়েছে। খোজ নিয়ে জানাগেছে মাংস ব্যবসায়ীরা ঈদ বাজারকে সামনে রেখে গরু ক্রয় ও তা মওজুদ করছে। লক্ষ্য ঈদ বাজারে ব্যবসা ভালভাবে করা। মাংস ব্যবসার সাথে জড়িত ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে চাহিদার কারনে মাংসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসে। সাধারন ক্রেতারা যারা মুল্যবৃদ্ধির কারনে সারা বছর গরুর মাংস ক্রয়ে অসমর্থ তারা ঈদের সময়ে মাংস সংগ্রহ ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর মাংস ব্যবসায়ীরা সাধারন ক্রেতাদের ইচ্ছা, আগ্রহ ও চাহিদাকে পুজি করেমুল্য বদ্ধি ঘটায়। গরুর মাংসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারনে ঈদকে সামনেরেখে পড়া, মহল্লা এবং বিভিন্ন শ্রেনির লোকজন সম্মিলিত ভাবে গরু সংগ্রহে নেমেছে। বিশ/ত্রিশ পঞ্চাশ জন মিলে একটি গরু ক্রয় করে ঘরোয়া পরিবেশে জবাই দিয়ে অংশ মোতাবেক মাংস ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেমেছে। এক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য যেমন স্পর্শ করে অনুরুপ ভাবে চাহিদানুযায়ী মাংস পেতে পারে। দেবহাটার পারুলিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন এমনই একজন উদ্যোক্তা তিনি জানান বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে সামাজিক ভিত্তিতে অর্থ উত্তোলন পরবর্তি তিন লক্ষাধীক টাকায় একটি গরুর কয় করতে যাচ্ছে। গরু জবাই পরবর্তি অংশীজনরা ভাগাভাগি করে নেবেন। তিনি বলেন এক্ষেত্রে অস্তির ও সীমাহীন মূল্যে গরুর মাংস ক্রয় হতে যেমন পরিত্রান পাওয়া সম্ভব অনুরুপ ভণাবে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা ঐক্যবদ্ধতা ও সম্প্রীতির সেতু বন্ধন সৃষ্টি হওয়ার মোখ্যম সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়। গরু লালন পালন কারীদের সাথে কথা বলে জানাজায় গো খাদ্যের মূল্য বদ্ধি এবং পরিচর্যা খরচ বাড়লেও গরুর মাংস ছয়শত টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মুল্য নির্ধারনি বোর্ড প্রদর্শনী ব্যতিরখে এবং গররু শ্রেনিভেদ জানান না দিয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা পরপর যোগসাজসে এক ধরনের অলিখিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেজি প্রতি সাড়ে সাতশত, সাতশত টাকায় বিক্রি করছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেশে গরু উৎপাদন সন্তোষজনক। বিদেশী গরু ব্যতিত আমাদের দেশে উৎপাদিত গরু হতেই দেশের মাংসের চাহিদা পুরন করা সম্ভব। মুল্য বৃদ্ধির মাঝেও চলছে প্রতারনা এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা সহজ সরল ক্রেতাদেরকে মাংসের সাথে হাড় হাড্ডি সহ খাওয়ার অনুপোযোগী চর্বি জাতীয় মাংস অনায়াসেই ওজন করে দিচ্ছে। গরুর মাংস পুরোপুরি নিম্নবিত্তের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মধ্যবিত্তের জন্যও কষ্টকর, উচ্চ বিত্তরা বাজেট সম্মিলনে হিমসিম খাচ্ছে। মনের কষ্টে তাইঅনেকে বলছেন শেষ সমাধান গরুর মাংসেরর বয়কর্ট, সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ জেলার গরুর মাংসের বাজারের ঝাজ আর প্রতারনার বিরুদ্ধে নিশ্চই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।