শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

গর্ভকালীন মুখের সুরক্ষায় করনীয়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: গর্ভকালীন সময়ে অন্যান্য সমস্যার মতো দাঁত ও মুখগহŸরের সমস্যাও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ে অ্যাসিডিটি ও মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যার কারণে মুখগহŸরে পিএইচ কমে যায় ফলে এর পরিবেশ অ্যাসিডিক হয়ে যায়, যা দাঁতের ওপরের লেয়ার তথা এনামেল ক্ষয় করে। এতে দাঁতে সিরসির অনুভব হয়।
এছাড়া এ সময় দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ও মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যাও দেখা যেতে পারে। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে দেখা যেতে পারে মাড়ি ও দাঁতের মূলে ইনফেকশনের মতো রোগ। যার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে।
গর্ভকালীন সময়ে প্রথম ও শেষ তিন মাস সাধারণত আলট্রাসনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দাঁতের চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ছাড়া এ সময় ব্যথা ও ইনফেকশন কমানোর জন্য সব ধরনের ওষুধ ব্যবহারও গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া এক্সরে ব্যাবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা মেনে চলতে হয়।
এসব কারণে সন্তান নিতে ইচ্ছুক নারীদের গর্ভধারণের পূর্বেই দাঁত ও মুখগহŸরের সমস্যা থাকলে সেগুলো সমাধান করে নেওয়া উচিৎ। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাস্তার পর ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ভালভাবে ব্রাশ করতে হবে।
বমি হলে বমির পর অবশ্যই খুব ভালো করে কুলকুচি করতে হবে। উচ্চরক্তচাপের সমস্যা না থাকলে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে (উচ্চরক্তচাপ থাকলে শুধু হালকা গরম পানি) কুলকুচি করলে দাঁত ব্যথা ও মাড়ির রক্তপড়া থেকে আরাম মেলে। মাড়ি ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এ ছাড়া দুধ, ডিম ও অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দাঁত ও গর্ভের সন্তানের হাড় গঠনে সহায়তা করে।
সর্বোপরি গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মুখগহŸরের যেকোনো সমস্যায় অবশ্যই একজন বিডিএস ডিগ্রিধারী রেজিস্টার দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
(ডা. ফারহানা নাজমুন যুথি লেকচারার, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ (ডেন্টাল ইউনিট) বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন নম্বর: ৮৭১৬)

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com