চীনের ইসরাইল বিহীন মানচিত্র প্রকাশ ঃ চিলি রাষ্ট্রদুদকে প্রত্যাহার করেছে
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ হামাস শক্তিশালী আর পারমানবিক অধিকারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বীরদর্পে লড়াই করে যাচ্ছে এবং নিজেদের শক্তি সাহস প্রদর্শন করে চলেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ উত্তর গাজার হামাস যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ করে ইসরাইলী বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান পরিচালনা করছে আর হামাস যোদ্ধারা নিজেদের অবস্থান হতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করছে আর হামাস শক্তিশালী যোদ্ধারা নিজেদের অবস্থান হতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করে শক্তিশালী ইসরাইলকে চরম বিপর্যস্থকর ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মুখে ফেলছে। গতকাল সম্মুখ যুদ্ধে উত্তর গাজায় নয় ইসরাইলী সেনাকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা, ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ তাদের নয় সেনার নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে হামাস সন্ত্রাসীরা চোরাগুপ্ত হামলা পরিচালনা করে তাদের নয় সেনাকে হত্যা করেছে। হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও ইসরাইলী বাহিনীর উপর ও সে দেশের ভূ-খন্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলকে বর্তমান সময়ে কেবল হামাস কে মোকাবিলা করতে হচ্ছে তা নয় হামাসের পাশাপাশি তাদেরকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হামলা প্রতিরোধ ও সতর্ক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে লেবানন সীমান্ত সংলগ্ন ইসরাইলী বসতি সরিয়ে নিয়েছে তারা। চীন, রাশিয়া এবং ইরানের পক্ষ হতে যে কোন সময়ে ইসরাইলে হামলা হতে পারে এমন আতঙ্ক ও কাজ করছে ইসরাইলী বাহিনীর ফিলিস্তীনি অধিবাসিদের উপর সর্বাত্মক ও বর্বরোচিত হামলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে চীন বার বার হামলা বন্ধের আহবান জানানোর পর এবার চীন সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মানচিত্র হতে ইসরাইলের নাম মুছে দিয়েছে চীন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে ইতিপূর্বে চীন কর্তৃক প্রকাশিত মানচিত্রে ইসরাইলের নাম সহ তেল আবিব সহ অপরাপর বড় বড় শহর গুলোর নাম ছিল। কিন্তু চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দুত ঝাই বলেছেন, ইসরাইল সম্পূর্ণ গায়ের জোরে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের উপর যে বর্বরতা ঘটিয়ে চলেছে তা আগামী দিন গুলোতে ইসরাইলি কঠোর ও কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নির্মম হত্যাকান্ড এবং বর্বর অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আখ্যা দিয়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া। গতকাল বলিভিয়ার সরকারের পক্ষ হতে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষনা দেওয়া হয়। এদিকে চিলি গাজায় ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। দেশটির পক্ষ হতে হামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে কাজ না হওয়ায় চিলি এবার ইসরাইল এর অভ্যন্তরে নিয়োজিত চিলির রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে। চিলির রাষ্ট্রপতি স্যাব্রিয়েল বোরিক বলেছে ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ সেইফ বলেন, ইসরাইল কেবল হামলা করছে না তারাও হামলার শিকার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমরা মারবো নতুবা মরবো আর কোন অবস্থাতেই নিজ জন্মভূমি গাজা হতে চলে যাব না। গাজায় ইসরাইলী বাহিনী শিশু ও নারীদের হত্যার মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধ করে চলেছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌছেছে যে দেশটির অভ্যন্তর ভাগে নারী ও শিশুদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে ইসরাইলী বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, গাজায় শিশু জন্ম গ্রহন করে যেন মৃত্যুর জন্য। গাজা দৃশ্যতঃ শিশুদের কবরস্থানে পরিনত হয়েছে। যুদ্ধ, হামলা, গোলাবর্ষন আর এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ ফিলিস্তীনি শিশুরা জন্ম গ্রহন করছে এবং যুদ্ধের মাঝে তারা হারিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তীন শিশুরাও তাদের মাতৃভূমির প্রতি পর্যাপ্ত দরদ এবং ভালবাসা প্রদর্শন করে চলেছে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে অকাতরে বুক পেতে দিচ্ছে এবং ইট, পাথর, পানিরপট দখলদার সেনাদের উপর নিক্ষেপ করে নিজেরা লাশে পরিনত হচ্ছে অথবা গ্রেফতার হয়ে ইহুদীবাদী ইসরাইলের কারাগারে বন্দী থাকছে। ইসরাইল গাজার হাসপাতালে বিমান হামলার পর এবার তারা আশ্রয়হীন মানুষগুলোর উপর হামলা চালিয়ে ইতিহাসের চরম ঘৃণ্যতম কাজটি করলেন, ইসরাইলী বাহিনী কয়েক হাজার ফিলিস্তীনির আশ্রয় স্থান শরনার্থী শিবিরে বিমান হামলা করে শতশত ফিলিস্তীনিকে হত্যা করে। আজ চলছে সাতাশ দিনের হামলা, সামান্য শক্তি নিয়ে হামাস পারমানবিক শক্তির অধিকারী ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে এটাই বড় সফলতা।