দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা আর হত্যাকান্ড বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষনার প্রস্তাব পাশ হলেও বর্বর ইসরাইল তা মানতে চাইছেনা। তারা রমজানের দিন গুলোতেও দখলদার ইসরাইল বাহিনী রোজাদার ফিলিস্তিনিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকবার কোন পথ নেই। অভূক্ত থেকে না খেয়ে বিশেষ করে সেহরি ও ইফতারির সময় গুলোতে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্যের অনুপস্থিতি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে। এদিকে গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিন গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে এবং উক্ত বিমান হামলায় অন্তত ত্রিশজনের অধিক হতাহত হয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গতকাল পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তেত্রিশ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। রোজার দিন গুলোতেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা ও ফিলিস্তিনিদের হত্যার মিশন চলছেই। মধ্যগাজায় সাম্প্রতিক দিন গুলোতে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশী অভিযান জোরদার করেছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত পুলিশদেরকে মধ্যগাজা এলাকা ত্যাগ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে দখলদার বাহিনী। খান ইউনিসের আল শেফা হাসপাতালের অভ্যন্তরে হামাস এর ঘাঁটি আছে এমন বিশ্বাস ও প্রচারনা চালিয়ে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা সপ্তাহ ব্যাপী আল শেফা হাসপাতাল কমপ্লেক্স এ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আল শেফা হাসপাতাল কেবলমাত্র খান ইউনিসের নয়,সমগ্র গাজা উপত্যকা সহ মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম বিখ্যাত হাসপাতাল যে হাসপাতালটিতে কেবল গাজাবাসি নয় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা চিকিৎসা গ্রহন করে থাকে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কল্যানে গাজাবাসি ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে এবার পারমানবিক বোমা বিস্ফরনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এএফপি ও রয়টার্স পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে মার্কিন আইনবিদ বলেছেন গাজা উপত্যকা কে নিশ্চিহৃ করতে হবে আর একারনে গাজায় পারমানবিক বোমার বিস্ফরন ঘটানো প্রয়োজন। গতকাল আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় বিশ্বময় নিন্দার ঝড় গেয়ে যায়। এদিক গাজার ঘরে ঘরে পথে প্রান্তরে খাদ্য অভাব রোজাদার ফিলিস্তিনিরা ইফতারি করতে পারছে না রোজা রাখতে শেষ রাতে সিহরীও জুটছে না তাদের কপালে, এদিকে গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব আলোচনা আবারও শুরু করেছে দুই পক্ষ। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে এবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব আলোচনার ক্ষেত্রে দৃশ্যতঃ ইসরাইলের আগ্রহেই অনুষ্ঠিত হতে বলেছে। মৃত্যুপুরী গাজার উত্তলতা বাড়াচ্ছে আল আকসা মসজিদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির উপস্থিতি। দখলদার বাহিনীর সদস্যরা আল আকসা গামী ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করতে পারে, বা তাদেরকে নিশ্চিহৃ করতে পারে এমন আতঙ্কিত খবর জেনেও ফিলিস্তিনিরা দলে দলে আল আকসা মসজিদে উপস্থিত হচ্ছে এবং নামাজ আদায় করছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রধান তথা মধ্যপ্রাচ্যের কসাই খ্যাত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা ইসরাইল। গতকাল সব শ্রেনির ইসরাইলিরা বিক্ষোভ করেছে। এদিকে হামাস এর পক্ষ হতে বলা হয়েছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় যে ভাবে হামলা এবং হত্যা করছে তার দাঁদ ভাঙ্গা জবাব দিচ্ছে আমাদের যোদ্ধারা, ইসরাইলি বাহিনীকে প্রতি নিয়ত শিক্ষা দিচ্ছে হামাস যোদ্ধারা। খান ইউনিস, উত্তর ও দক্ষিন গাজা জেরুজালেম, রামাল্লায় সর্বত্র দখলদার বাহিনীকে চরম প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে এবং বর্তমান ও তারা প্রতিনিয়ত হামলার মুখী।