শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

গাজার প্রতিটি এলাকায় দখলদার বাহিনী হামাসের প্রতিরোধের মুখে চিন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ গাজায় চলছে ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞ, পৃথিবীর ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক এই গাজা শহরকে ধ্বংস স্তুপে পরিনত করার সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মানবতার শত্র“ দখলদার ইসরাইল, এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে না। দিন রাত সকাল সকাল সময়ই তারা হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে। বীর বিক্রমে হামাস যোদ্ধারা ঘাতক ইসরাইলি বাহিনীর হামলা প্রতিরোধের পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালিয়ে শক্তিশালী ইসরাইলি বাহিনীকে কুপোকাত করছে। গাজা যেন শ্মশানে পরিনত হয়েছে। হামাসকে নির্মূল ও গাজা হতে বিতাড়িত করতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সাগরের সাথে ইলেকট্রিক পাম্প সংযোজন করে সাগরের লবনাক্ত পানি গাজায় অবস্থিত হামাসের সুড়ঙ্গে প্রবেশ করাচ্ছে কিন্তু তাতে ও ইসরাইলি বাহিনী হামাসকে মোকাবিলা করতে পারছেনা। বরঞ্চ প্রতিদিনই হামাসের হাতে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে ইহুদী সেনারা। গতকাল ও খান ইউনুসের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হামাস সদস্যরা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত রকেট হামলা চালিয়ে ক্ষত বিক্ষত এবং বিপর্যস্থ করেছে ইসরাইলি সেনাদের। ইসরাইলি সেনা সদস্যদের মাঝে সা¤প্রতিক সময়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাতে তারা ফিলিস্তীনিদের ন্যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গতকাল পশ্চিম মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে কঠোর সমালোচনা করেছে পার্লামেন্ট সদস্যরা। দেশটির বিরোধী দলের পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে মিথ্যাবাদী বলে অবহিত করে বলেছে গাজায় আমাদের সেনারা প্রতিনিয়ত হামাস সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিহত হচ্ছে। শত শত সেনা আহত হচ্ছে তারপরও প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। ইসরাইলিদেকে বুঝানো হচ্ছে যে গাজায় আমাদের সেনারা হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে না। ইসরাইলের প্রধান বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকার দলীয় সদস্যরাও নিজ দলের প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করে বলেছে এই সরকার আমাদের সেনা বাহিনীকেও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উলে­খ্য গত দুই মাসের অধিক সময়ে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে সাত শতাধীক সেনাকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা এবং অন্তত দুই হাজারের অধিক ইসরাইলি সেনা আহত হয় ইসরাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের শতাধিক ট্রা্কং ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ চিন একই ভাষায় কঠোর হুশিয়ারী ও সমালোচনায় মুখ হয়েছে আরব দেশের প্রভাবশালী সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চির বৈরীতায় পূর্ণ ইরান। গতকাল দেশগুলোর পক্ষ হতে ইসরাইলকে সংযত হওয়ার আহবান জানানোর পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে সব ধরনের হামলা ও অভিযান বন্ধের আহবান জানিয়েছে। দেশগুলো হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে এরপরও যদি ইসরাইল তার হামলা ও হত্যাকান্ড বন্ধ না করে তাহলে তার জন্য ইসরাইলকে চরম পরিনতি ভোগ করতে হবে। দেশগুলো আরও বলেছে ফিলিস্তীনিদেরকে গাজা হতে উৎখাত করার ইসরাইলের যে কোন তৎপরতাকে তারা রুখে দিতে প্রস্তুত। এদিকে সোমালিয়ায় বিদ্রোহীরা ইসরাইল গামী একটি জাহাজ আটক করেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত ও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইল মুখি জাহাজ আটক ও গতিরোধ করার জন্য সশস্ত্র প্রহরায় নিয়োজিত। গতকাল সোমালিয়ার বিদ্রোহীরা যে জাহাজ আটক করেছে তা আফ্রিকার অঞ্চলে হলেও ধারনা করা হচ্ছে সোমালিয়া বিদ্রোহীরা উক্ত জাহাজের গন্তব্য ইসরাইল মনে করে এমনটি করেছে। এদিকে গাজায় হামলা চলাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গোলকধাঁদায় পড়েছে। তারা যতবেশী বিস্তৃত হচ্ছে ততোই হামলার ও নিহতের শিকার হচ্ছে। হামাস যোদ্ধাদের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে গাজা ভূমি আমাদের অতি পরিচিত এই ভূমিকে আমরা যে ভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ব্যবহার করতে পারি কিন্তু দখলদাররা তা পারবে না। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বারবার পরোস্থ ও হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে তার অন্যতম কারন হামাস যোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধে অত্যান্ত পটু। এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ইসরাইলের হামলায় অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তীনি নিহত হচ্ছে। ইসরাইলি সেনারা ত্রানবাহী যানবাহন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জর্দান। প্রতিদিনই গাজায় ক্ষুধার্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতাল গুলোরে অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হুমকির মুখে, শরনার্থী শিবির গুলোতেও হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com