দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ জ্বলছে ফিলিস্তীন, কাঁদছে গাজা নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তীনিদের জীবন মৃত্যু যেন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের হাতে। গাজার বিস্তীর্ণ জনপদে ইসরাইলের নির্বিচারে বোমা হামলার ঘটনা থেমে নেই। আশ্রয়হীন ফিলিস্তীনিদের বসতবাড়ীতেই শুধুমাত্র হামলা পরিচালনা করেই থেমে থাকছে না তারা আশ্রয়হীন ফিলিস্তীনিরা যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে ছুটছে তো ছুটছেই সে ছুটে চলে বাস্তহারা মানব সন্তানের মাথার উপর নিক্ষেপ করছে বিভিষিকাময় জীবন হারানো বোমা। গাজায় ইসরাইল কেবল মাত্র যুদ্ধাপরাধ করছে তা নয়, গাজায় ইসরাইলের সরকার মানবতা বিরোধী কর্মযজ্ঞ ও পরিচালনা করছে, হাসপাতালগুলোতে যখন ফিলিস্তীনিদের মৃত দেহ স্তুপ করা, ইসরাইলের অমানবিক বোমা হামলায় ফিলিস্তীনিরা যখন প্রাণ রক্ষায় চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ছুটছে সেই হাসপাতাল ও নিরাপদ থাকছে না ফিলিস্তীনিদের জন্য। ইসরাইলের অত্যাধুনিক বিমান বাহিনীর বিমান গুলো ফিলিস্তীনিদের চিকিৎসা কেন্দ্র হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। উক্ত বিমান হামলায় অন্তত চার শতাধিক ফিলিস্তীনির মৃত্যু ঘটেছে। এবং হাসপাতালটি বোমা হামলায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অকেজো হয়েছে। গাজার প্রতিটি হাসপাতাল যেন এক একটি কবরস্থানে পরিনত হয়েছে। হাসপাতাল গুলোর মর্গে লাশ রাখার স্থান পূর্ণতা পাওয়ায় আইসপ্যাকেটে রাখা হচ্ছে লাশের পর লাশ। গত দশ তারিখের পর থেকে গাজার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। গাজায় নির্মম হত্যাকান্ড আর মানবিক বিপর্যয়ের কারনে পশ্চিমা বিশ্ব দৃশ্যতঃ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষনা দিলেও হাসপাতালে ইসরাইলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। উদভ্রান্ত, আতঙ্কিত, আশ্রয়হীন গাজাবাসি মঙ্গলবার স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলেও তারা বাঁচতে পারেনি ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলার কারনে। মিশরের সীমান্তে বিপুল সংখ্যক আতঙ্কিত ফিলিস্তীনিরা অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধ বিরতির যে খবর প্রচার করা হচ্ছে এবং ইসরাইল হামলা বন্ধ রেখেছে বলে প্রচারনা চালানো হচ্ছে এ বিষয়ে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজায় কোন ধরনের যুদ্ধ বিরতি পালন করা হচ্ছে না। ইসরাইলের হামলা অভ্যাহত আছে, হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ফিলিস্তীনিরা তাদের প্রিয় জন্মভূমি হতে কোন অবস্থাতেই চলে যাবে না, তারা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাবেন। গাজার হাসপাতালে বিমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরাইল, একই সাথে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। হাসপাতালে হামলার বিষয়ে বিশ্বময় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশ্বের সব প্রান্ত হতে নিন্দা জানানো হচ্ছে। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ফিলিস্তীনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা পরিচালনা করছে। সর্বশেষ খবরে জানাগেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জোবাইডেনের সাথে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফিলিস্তীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইসরাইল এবং হামাস যুদ্ধ যে ভাবে গতি পাচ্ছে তাতে স্পষ্ট হচ্ছে এই যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।