দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইল বাহিনীর সদস্যরা অব্যাহত ভাবে ফিলিস্তিনিদের উপর একের পর এক বিমান হামরা পরিচালনা করে আসছে। গাজা উপত্যকা দৃশ্যতঃ মৃত্যু কুপে পরিনত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মুল ভাবনা ফিলিস্তিনিদেরকে গাজা উপত্যকা হতে পুরোপুরি নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করা আর এ কারনে গাজার প্রতিটি প্রান্তরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা চলছে তো চলছেই। এমন হত্যাকান্ড বিশ্ব কি কখনও দেখেছে? গাজার পথে পথে লাশ আর লাশ। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে আছে লাশ। এমন কোন ধ্বংসস্তুপ নেই যার ভিতরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক হত্যা করা ফিলিস্তিনিদের লাশ নেই। এদিকে গাজায় আবারও গনকবরের সন্ধান মিলেছে। গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক ও ঐতিয্যের ধারক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নগরী হিসেবে খ্যাত খান ইউনিসে গত পনের দিন যাবৎ চলছে চরম পর্যায়ের গনহত্যা উক্ত গনহত্যায় দখলদার বাহিনী লাশ গুম না করে গন কবর দিয়েছে। গতকাল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উক্ত গনকবরের সন্ধান পেয়েছে। দৃশ্যতঃ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ধ্বংস হওয়া আল সিফা হাসপাতাল কমপাউন্ডে উক্ত গন কবর এর অস্তিত্ব সৃষ্টি করেছে। কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে গতকাল আল সিফা হাসপতাল কমপে−ক্স এলাকায় উদ্ধার কর্মিরা একাধিক গনকবরের সন্ধান পেয়েছেন। খবরটি প্রচার হলে মুহুর্তের মধ্যে ইসরাইলি মায়েরা উক্ত সিফা হাসপাতাল এলাকায় উপস্থিত হয় এবং নিজদের স্বজনদের লাশ খুজতে থাকে এ সময় গনকবর স্থান এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরনা ঘটে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করলেও তাদের মাঝে হানিয়া আতঙ্ক ও উদ্বেগ যাচ্ছে না। যতই দিন যাচ্ছে ততোই তারা ফিলিস্তিনিদের গনহত্যা অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিচ্ছে। হামাসের পক্ষ হতে আবারও হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলকে কোন অবস্থাতেই ক্ষমা করা হবে না। আমাদের প্রিয় যোদ্ধা ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের মৃত্যুজয়ী বীর ইসমাইল হানিয়ার হত্যা প্রতিশোধ গ্রহন করা হবে। ইসরাইলী বাহিনী মধ্য ও পশ্চিম গাজায় হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। গত দুইদিন বিমান হামলার পাশাপাশি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা স্থল অভিযান ও পরিচালনা করছে। ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতার চিত্র সর্বাপেক্ষা দেখা যাচ্ছে পশ্চিম গাজায়। গতকালই শুধু পশ্চিম গজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৮০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা এবং হত্যাকান্ড যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে অনুরুপ ভাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরাও হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা ব্যাপক ভাবে হামলা ও প্রতিরোধের শিকার হচ্ছে। হামাসের শক্তি খর্ব হইনি তাদের শক্তি, সক্ষমতা ও সামর্থ পুরোপুরি অক্ষুন্ন আছে। রাফা শহর জ্বলছে তো জ্বলছে। শহরটির চারিদিক দিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে এবং হামাস যোদ্ধারা শহরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন এলাকাতে নিজেদের শক্তি নিয়ে যুদ্ধ করছে ইসরাইলি সেনাদের প্রতিহত করছে। এদিকে গতকালও হিজবুল−াহ ও হামাসের মধ্যে ব্যাপক হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেন থেকে ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র ইসরাইলের ভু-খন্ডে নিক্ষেপ করেছে তবে ইসরাইলের পক্ষ হতে বলা হয়েছে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্র ইসরাইলের মধ্য আকাশে ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এদিকে ইরানের, তুরস্কের পাশাপাশি মিশরও ইসরাইলকে হুমকি ও হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে ইসরাইলের হত্যাকান্ডের সীমা অতিক্রম করেছে অবিলম্বে তা রোধ করতে হবে।