দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গতকাল গাজার সর্বত্র ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা চালিয়ে পুরো গাজা উপত্যকাকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ,আশ্রয় শিবির, রিপাবলিকান কোন স্থানই বাদযাইনি দখলদার ইসরাইলির বিমান হামলার কবল থেকে। দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলার তব্রিতা এবং তিব্রতা এতটুকু বেপরোয়া ছিল যে উক্ত হামলায় বহুসংখ্যক বসতবাড়ী মাটির সাথে মিশেগেছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজারস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনিয়েছে দখলদার ইসরাইলিবাহিনীর হামলায় গত চব্বিশ ঘন্টায় ৫০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের একটি বড় অংশ নারী ও শিশু। দখলদার বাহিনীর প্রতিটি হামলা ও হত্যাকান্ড ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের স্থান থাকবেই। বরাবরের ন্যায় গতকাল দখলদার ইসরাইলির বর্বর বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজায় ইসরাইলি হামলায় গতকাল পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছত্রিশ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসযোদ্ধাদের হামলায় এযাবৎ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক দখলদার সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর গাজায় দখলদার বাহনিী নতুন ভাবে বিমানহামলা শুরু করেছে। এমনিতেই উত্তরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা উপর্যপুরী বিমান হামলায় মৃত্যু পুরীতে পরিনত করেছে। শহরটির অন্তত আশি ভাগ বসতবাড়ী মাটিরসাথে মিশেগেছে। উত্তর গাজায় দৃশ্যতঃ চলছে দুর্ভিক্ষ এরই মাঝে যেখানে নতুন করে বিমান হামলঅয় করায় ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ ব্যতিত আর কোন পথ খোলা থাকছে না। রাফা শহরে দখলদার বাহিনী এবার মর্যাদার প্রতিক মারকাভা ট্যাঙ্ক বহরের মাধ্যমে হামলা শুরু করেছে। হামাস যোদ্ধারা উক্ত মারকাভা ট্রাঙ্কে হামলা চালিয়েছে। কাতার আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর ট্রাঙ্ক বহরে গতকাল হামাসযোদ্ধারা মুহুর মুহুর হামলা পরিচালনা করে এবং গেরিলা হামলা চালিয়ে ইসরাইলি সেনাদেরকে হতাহত করে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা আরও জানিয়েছে গাজার ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১২ লক্ষ ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। এবং শহর হতে দখলদার বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পেতে অন্তত তিন লক্ষ ফিলিস্তিনি রাফা ত্যাগ করেছে। গাজার পথে পথে ফিলিস্তিনিদের লাশের খবরটি পুরাতনহতে চলেছে দখলদার ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া বসতবাড়ীর তলায় শত সহস্র ফিলিস্তিনির লাশ পড়ে আছে এবং উক্ত লাশ হতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার সর্বত্র যেমন বিমান ও স্থল হামলা পরিচালনা করছে অনুরুপ ভাবে হামাস যোদ্ধারা গাজায় ভূ-খন্ড হামরা ও অবস্থান রত। দখলদার বাহিনীর উপর প্রতিরোধ হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। ফিলিস্তিনিরা সামান্যতম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। গাজার উপত্যকার প্রতিটি হাসপাতাল দখলদার ইরসাইলি বাহিনী বিমান হামলায় ধ্বংস করে দিয়েছে গাজার খান ইউনিসের ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত হাসপাতাল আল সিফা অনেক আগেই দখলদার বাহিনী বিমান হামলায় ধ্বংস করে ছেড়েছে। এদিকে আল জাজিরা একটি চেমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরাইলের বিরোধী দলের নেতা ইয়ার ল্যাগিদ। অতি সম্প্রতি ইউরোপের দেশ ফিলিীস্তনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর বিরোধী দলের নেতা ইয়ার ল্যাপিদ যুদ্ধ কালীন মন্ত্রীসভাকে এই বলে আহবান জানিয়েছে কয়েকটি শর্তে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। এদিকে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে ইউরোপের দেশগুলো ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিয়ে দৃশ্যতঃ সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন ও সহযোগিতা করলো। এদিকে গতকাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি হত্যার প্রতিবাদে ও ইসরাইলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা অব্যাহত এবং গাজায় আটকই ইসরাইলি নাগরিকদের মুক্ত করতে ব্যর্থতা ও মুক্তিরদাবীতে প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্নশহরে ইসরাইলিরা বিক্ষোভ করছে। মতসহস্র ইহুদীরা উক্ত বিক্ষোভে সামিল হয়। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কে গ্রেফতারের বিষয়ে শুনানী চলছে। আল জাজিরা বলছে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান কৌশলী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারী পরোয়ানা চাইছে। সত্যই কি নেতানিয়াহুর উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে চলেছে।