জাবালিয়ার আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলা নিহত নব্বুই ঃ আহত শতাধীক
গাজায় আড়াই কিলোমিটারে প্রশস্ত হামাসের সুড়ঙ্গের সনধান লাভ দাবী দখলদার বাহিনীর হামাসের অস্বীকার ঃ সুড়ঙ্গ হতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হামাসঃ এখনও ধ্বংস্তুপের নিচ হতে লাশ উদ্ধার চলছে ঃ লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজ আটকাতে সশস্ত্র হুতিরা ঃ ইয়েমেনে হামলার প্রস্তুতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঃ লেবানন ও ইসরাইল চলছে গোলাগুলি
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইল বাহিনীর পৈশাষিক হামলা চলছে তো চলচেই। গাজার সর্বত্র লাশ আর লাশ, দখলদার মার্কিন বাহিনীর লক্ষবস্তু শুধু হামাস নয়, তাদের লক্ষ্য পুরো ফিলিস্তীনি জনগন। তাদের লক্ষ্য ফিলিস্তীনি নারী ও শিশু। ঐতিহাসিক গাজা উপত্যকার আগামী দিনের প্রজন্মকে নিশ্চিহৃ করলে গাজা শ্মশানে বিরান ভূমিতে পরিনত হবে এটাই তাদের তার্গেট, শিশুদের হত্যা করা হলে গাজার ফিলিস্তীনিদের বংশ বিস্তর ঘটবে না, অন্যদিকে নারীদের কে হত্যা করলে ফিলিস্তীনিদের বংশ বিস্তর রোধ হবে। এক কথায় পুরো গাজাকে মানুষহীন করার লক্ষে অগ্রসর হচ্ছে ঘাতক ইসরাইলি বাহিনী আর এজন্যই নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড। বসতবাড়ী, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র চলছে দখলদারের লোমহর্ষক বিমান হামলা, এবার গাজার বৃহত্তম উদ্বাস্ত শিবির জানালিায় ঘাতক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে উক্ত বিমান হামলার অন্তত নব্বুই জন ফিলিস্তীনি নির্মম ভাবে নিহত হয়েছে এবং নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। উক্ত হামলায় শতাধিক ফিলিস্তীনি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। ফিলিস্তীনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু সংখ্যক নিহতের মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে। দখলদার বাহিনীর হামলা হতে প্রানে বাঁচতে আশ্রয় শিবির গুলোতে আশ্রয়গ্রহণ কারি ফিলিস্তীনিরাও বাঁচতে পারলো না। কতটুকু নির্মম, বর্বর, নিষ্ঠুর হলে ইসরাইলি বাহিনী আশ্রয় শিবিরে হামলা চালাতে পারে। দখলদার বাহিনী এই প্রথম জাবালিয়া আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে তা নয়, ইতিপূর্বেও তারা উক্ত আশ্রয় শিবির সহ একাধিক আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে জাবালিযা আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করা ফিলিস্তিিনরা দীর্ঘদিন যাবৎ খাদ্য সহ সুপেয় পানির অভাবে ছিল। কোন কোন দিন উক্ত আশ্রয় শিবিরে খাদ্য আসা না আসা ছিল অনিয়মিত। এমনিতেই ক্ষুধার যন্ত্রনায় জাবালিয়া আশ্রয় শিবির হতে অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল, গাজার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে নিরীহ ফিলিস্তীনিরা কেবল বিনা প্রতিরোধে কেবল হত্যা কান্ডেরই শিকার হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে গাজায় চলছে না হত্যাকান্ড এবং নির্মম হত্যাকান্ড। ইতিহাসের অন্ধকরাচ্ছন্ন দিন অতিবাহিত করছে গাজা। সর্বত্র ভয় আর আতঙ্ক গাজা বাসিকে তাড়িত করে চলেছে। একই সময়ে জাবালিয়া শহরের আল বারশ এবং আলওয়ান এলাকার কয়েকটি বাড়ীতেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনায় করে ব্যাপক ধ্বংস লিলা চালিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে উনিম হাজার। বিশ্বের ইতিহাসে কোথায় এমন ভাবে একটি নিরীহ নিরস্ত্র জাতিকে হত্যা করার নজির নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেই নজির সৃষ্টি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। হত্যা করা যেন তাদের জন্য কোন বিষয় নয়, পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা গাজার প্রতিদিনের চিত্র এবং ভয়াবহ চিত্র। এদিকে হামাস এর আড়াই কিলোমিটার প্রশস্থ সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়ার দাবী করেছে ইসরাইল আর হামাসের বক্তব্য ইসরাইলের দাবী সঠিক নয়, তারা তাদের নিরাপদ সুড়ঙ্গে অবস্থান করেই ইসরাইলি বাহিনীকে প্রতিরোধ করে চলেছে। ইতিমধ্যে হামাস ইসরাইলি বাহিনীকে প্রতিরোধ যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ঘটিয়েছে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে তুলনাহীন বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইহুদীরা, গাজায় অপহৃত এবং হামাসের হাসে বন্দী জিম্মিদের মুক্ত করতে না পারার দায় কেবল ইসরাইলি বাহিনীর উপর বর্তায়ছে অনুরুপ ভাবে ইসরাইলের সেনাদের গুলিতে চার ইসরাইরি নিহত হওয়ার দায় তাদের উপর। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে কোন সময়ে ইয়েমেনে হামলা পরিচালনা করতে পারে বলে এমন আভাস দিয়েছে পেন্টাগন। কারন ইয়েমেনের অভ্যন্তর হতে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচল করা জাহাজ আটক ও হালা করছে একই ভাবে ইয়েমেনের অভ্যন্তর হতে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রনে ইয়েমেনের অভ্যন্তরে সামরিক অভিযানের সম্ভাব্যতা দেখছে মার্কিন যুক্তরষ্ট্র। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এবার গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ ও হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীকে মানবিক সহায়তা দিতে নিরাপত্তা পরিষদ এবার ভোটাভুটিতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে গাজায় যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রস্তাবের বিপক্ষেণ ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে কারনে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব বাতিল হয়। এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় আশ্রয় শিবিরের বাইরে অন্তত তিনটি শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে। প্রতিটি হামলায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তীনির নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।