শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নলতায় ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও তরমুজ বিতরণ নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ আবারও উপজেলার শ্রেষ্ঠ পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক আশাশুনি উপজেলা নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ আশাশুনিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের মে দিবস পালিত কয়রায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা তালায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ -সিটি মেয়র আসন্ন ষষ্ঠ শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিমা রানীর গণসংযোগ উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

গাজায় গণ কবরের সন্ধান ঃ শত লাশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গতকাল মুহুর মুহুর বিমান হামলা পরচালনা করে অন্তত পঞ্চাশ জনের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ সময় ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গণ গ্রেফতার সহ ফিলিস্তিনিদের সম্পদ লূট করে। গতকাল গাজায় একাধিক গণকবরের সন্ধান পেয়েছে রেডক্রসের সদস্যরা। খান ইউনিসের আল সিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্স এলাকাতে সর্ববৃহৎ গনকবরের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধার কর্মিরা উক্ত গণ কবরে অন্তত শতাধীক ফিলিস্তিনির মৃত দেহ দেখা যায়। এমনই আরও দুইটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে রাফা শহরের ব্যস্ততম এলাকায় ও আল নাসের হাসপাতালের কমপ্লেক্স এলাকাতে। কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা খান ইউনিসও রাফা শহরে হত্যাকান্ড পরিচালনা পরবর্তি আল সিফা হাসপাতাল ও আল নাসেরহাসপাতাল সংলগ্ন ভূমিতে গর্ত করে নিহত ফিলিস্তিনিদেরকে মাটি চাপ দিয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের সময় গুলোতে হাসপাতাল দুটি ধ্বংস সাধন করার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যাকরে। এদিকে কাতারের সাথে হামাসের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে হামাসের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য কাতার সরকার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির পরিবর্তে সামাইক যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হতে হামাসকে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে হামাসের স্পষ্ট অবস্থান গাজাহতে ইসরাইলের সেনাদের কেপ্রত্যাহার করতে হবে এবংগাজায় স্থায়ী বিরতি কার্যকর করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে হামাস নেতৃবৃন্দ কে অফিস সহ কাতার ত্যাগ করার সময় এসে গেছে বলে আল জাজিরা টেলিভিশন জানাচ্ছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া আবারও দৃঢ়তার সাথে বলেছে হামাস ইসরাইল যুদ্ধ শেষে ও গাজা শাসন করবে ফিলিস্তিনিরা বর্তমানসময় ফিলিস্তিনিরা দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা, হত্যা, বসতবাড়ী নিশ্চিহৃ করার পরও শাসককার্য পরিচালনা করছে। দখলদার বাহিনী শক্তি আর সামরিক বলে বলিয়ান হয়ে গাজাবাসিকে হত্যা করতে পারে কিন্তু তারা কোন অবস্থাতেই গাজায় পরিপূর্ণ দখলদারিত্ব বজায় রাখতে পারবে না। ঈদের দিনে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তিন পুত্রকে দখলদার বাহিনী হত্যা করলেও ইসমাইল হানিয়া কোন ধরনের শোক প্রকাশ না করেই বলেছে আমার তিন পুত্র ও নাতনিকে হত্যা করেও দখলদার বাহিনী আমাকে বা হামাসকে প্রতিরোধ হামলা হতে তথা ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় হতেপিছিয়ে আনতে পারবে না। এদিকে ইসরাইলের প্রতি ইরান আবারও হুশিয়ারী উচ্চারনকরে বলেছে কোন অবস্থাতেই দখলদার ইসরাইলিকে ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভুমিতে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা পরিচালনায় ইসরাইলকে করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে। ইরানের সেনা প্রধান ইসরাইলের অস্ত্রকে ইরানী শিশুদের খেলনার সাথে তুলনা করে বলেছে ইসরাইলের সামরিক শক্তিকে ইরান ভয় পায় না। গতকাল মধ্য গাজা, রমাল্লা, জেরুজালেম, খান ইউনিস ও রাফা শহরে দখলদার বাহিনী ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা করেছে উক্ত বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মৃত্যু ঘটেছে। ইসরাইলের লক্ষ্য ফিলিস্তিনি মা ও শিশুদের হত্যা করা আর এর কারন ফিলিস্তিনি মায়েদেরকে হত্যা করা হলে তারা আর সন্তান ধারন করতে পারবে না ফিলিস্তিনি বংশ রোধ করা সম্বব হবে এবং শিশুদেরকে হত্যা করা হলে আগামী দিনের ফিলিস্তিনি জন গোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্যাস পেতে থাকবে এদিকে গতকাল ও গাজায় ত্রানবাহি গাড়ীর অনুপ্রবেশে বাঁধা প্রদান করেছে ইসরাইলি সেনারা। গাজার সর্বত্র ক্ষুধা আর দারিদ্রতা। ক্ষুধার যন্ত্রনায় মৃত্যুর কাছে পরাজিত হচ্ছে সমৃদ্ধশালী গাজার অধিবাসিরা। গাজায় ত্রান শিবির তথা আশ্রয় শিবির গুলোতেও খাদ্য অভাব চরম আকার ধারন করেছে। পরিস্থিতি এতটুকু ভয়াবহ আকার ধারন করেছে যে আশ্রয় শিুিবর গুলোতে চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুবিধা যেমন নেই অনুরুপ ভাবে প্রায় সময় দখলদার বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় শিবির গুলোতে বিমান হামলা অথবা স্থল অভিযান পরিচালনা করে ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করে চলেছে। হামাস তাদের অবস্থানে অটল কোন অবস্থাতেই গাজাহতে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার ব্যতিত বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধ বিরতিতে যাবে না এমন দৃঢ়তায় দৃশ্যতঃ ইসরাইল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আল জাজিরা টেলিভিশন আরও জানিয়েছে হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলিদের মুক্তি করতে না পারায় এবং বন্দী মুক্তির দাবীতে গতকাল ইসরাইলের রাজধানী তেল আবীব সহ প্রধান প্রধান শহর গুলোতে বিক্ষোভ করেছে ইসরাইলিরা এ সময় বিক্ষোভ কারীলা নতুন নির্বাচনের ও দাবী জানাতে থাকে। গাজার সর্বত্র যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে তা হতে যদি উত্তরন না ঘটে তাহলে পুরো গাজা সিটি বসবাসের অনুপোযুক্ত হবে ও প্রাণহীন উপত্যকায় পরনত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com